হেলিকপ্টার থেকে নেমে হাতিতে বর গেল কনের বাড়ি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

হেলিকপ্টারে উড়ে এসে হাতির পিঠে সওয়ার হয়ে দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কনের বাড়িতে যান বর।

এমনই এক রাজকীয় বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে বগুড়ার সোনাতলার কাবিলপুর গ্রামে।

প্রত্যন্ত উপজেলায় এমন বিয়ে উপভোগ করতে শত শত মানুষ রাস্তায় ও বিয়ে বাড়িতে ভিড় জমান।

শুক্রবার বগুড়ার সোনাতলা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বেলালের মেয়ে সফটওয়্যার প্রকৌশলী ফারজানা আকতার স্নিগ্ধার সঙ্গে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার খাঁনবাড়ি পূর্ব নাউরী এলাকার প্রবাসী শায়েস্তা খাঁনের ছেলে সফটওয়্যার প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন খানের বিয়ে হয়।

বিয়ে শেষে বিকালে বরযাত্রীরা কনে প্রকৌশলী ফারজানা আকতার স্নিগ্ধাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চাঁদপুরে ফিরে যান।

বিয়েতে প্রায় ৪ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।

খাদ্য তালিকায় ছিল বিরিয়ানি, কাচ্চি বিরিয়ানি, মুরগির রোস্ট, খাসি ও গরুর গোশত, সালাদ, দই, বোরহানি, মিষ্টি এবং কোমল পানীয়।

বিয়েতে আসা সোনাতলার রানীরপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদ খাঁন, আবুল কালাম, কাবিলপুরের মমতাজ বেওয়াসহ বেশ কয়েকজন জানান, দেশ স্বাধীনের পর তাদের এলাকায় এই প্রথম রাজকীয় বিয়ে দেখলেন। এর আগে কোনো বর হেলিকপ্টার ও হাতিতে এসে বিয়ে করেননি।  

কনের বাবা ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বেলাল জানান, তার ৪ মেয়ের মধ্যে ফারহানা আকতার স্নিগ্ধা বড়।  সে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।  ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।

তিনি আরও জানান, এর আগে কোনো জামাই হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে আসেনি। তাই তিনি তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন থেকে জামাইকে হাতিতে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বরকে বাড়িতে আনতে হাতির ভাড়া লেগেছে ২২ হাজার টাকা।

কনে ফারহানা আকতার স্নিগ্ধা জানান, তার বাবা শৌখিন মানুষ। তাই তিনি তার বিয়েতে ব্যাপক আয়োজন করেন।

বর শামসুল আরেফিন খান জানান, তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার বাবা জাপান প্রবাসী। তার একটা ছোট বোন রয়েছে যাকে এক বছর আগে বিয়ে দিয়েছেন।

বর ও কনে দু’জনই বিয়েতে খুশি বলে মন্তব্য করে সবার দোয়া চেয়েছেন তারা। যুগান্তর