হালুয়াঘাটের গাবরাখালীতে হচ্ছে পিকনিক স্পট

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা পৌর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড়। সেই পাহাড় ঘেরা গাজিরভিটা ইউনিয়নের গাবরাখালী গ্রামে সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে পিকনিক স্পট।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিকনিক স্পটের কাজ শেষ হলে বদলে যাবে এই এলাকার চিত্র। দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে গাবরাখালী পাহাড়ে পিকনিক স্পটের রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে দুইটি পাহাড় নিয়ে পিকনিক স্পটের কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১২৫ একর জায়গার উপর পিকনিক স্পটের কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ থেকে ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে এখানে নির্মাণ করা হবে, সুদৃশ্য প্রধান ফটক, ডিসপ্লে মডেল, তথ্য কেন্দ্র, গাড়ি পার্কিং জোন, ক্যান্টিন, ওয়াচ টাওয়ার, মিনি চিড়িয়াখানা, মনোরম লেক ও বোটিং, ব্রিজ, স্ট্রেম্পিং রোড বা সুউচ্চ পাহাড়ে ওঠার জন্য ধাপ রাস্তা (সিঁড়ি), মিনি শিশু পার্ক, রেস্ট হাউজ ইত্যাদি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী আসে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা গাবরাখালী পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে। তাদের ভালো লাগার স্মৃতিচারণা শুনে মুগ্ধ হতাম। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো এখানে যেন পিকনিক স্পট নির্মাণ করা হয়। আমাদের প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন এখানে পর্যটন স্পট করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। উনার মৃত্যুর পরে তা থেমে যায়। বর্তমানে মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং ও প্রশাসনের উদ্যোগে এখানে আবারো পিকনিক স্পট হচ্ছে। এটির কাজ শেষ হলে দেশের নানা প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে পারবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তানভির আহমদ বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে দুটি পাহাড় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে তা বৃদ্ধি করা হবে। আমরা আশাকরছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পর্যটন কেন্দ্রটির কাজ শেষ হলে দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী পালন করবে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম বলেন, এই জায়গাটি প্রাকৃতিকভাবেই অনেক সুন্দর। আমাদের উপজেলার সকল কর্মকর্তাবৃন্দকে সাথে জেলা প্রশাসক এই পাহাড়টি ঘুরে দেখেছেন। ইতিমধ্যেই উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। আমরা আশাকরছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হবে।

 

সূত্র: কালেরকন্ঠ