নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সকল বিভাগের মধ্যে সেবা প্রদানে এক নম্বর হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। টিকাদান কার্যক্রমে সারাদেশের মধ্যে ৯ বার প্রথম স্থান অর্জন করেছে রাসিক। টিকা কার্যক্রমের রাসিকের সাফল্য প্রায় শতভাগ। আগামীতে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। স্বাস্থ্যসেবায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে রাজশাহীকে মাইলফলক করতে চাই।
আজ শনিবার সকালে নগরভবনের সিটিহল সভাকক্ষে ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, টিকাপ্রদানে যারা দায়িত্ব পালন করেন, তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আগামীতে আরো প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। যেসব স্বাস্থ্যকর্মী মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেন, তাদের কাজের গতি বৃদ্ধিতে ট্যাব প্রদান করা হলো। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা বেগম মিলি, পরিচালক (স্বাস্থ্য) রাজশাহী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাশেদুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ও প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশনের গুরুত্ব বিষয়ে প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডা. একেএম কামরুজ্জামান। সভার উপস্থাপনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
উল্লেখ্য, সভা শেষে রাসিকের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত টিম লিডারদের মাঝে প্রায় অর্ধশত ট্যাব বিতরণ করা হয়। এই ট্যাবের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন করা হবে।
স/আ
