স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিন

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস আজ। এই দিনে জাতীয় ফুটবল দল খেলতে নামছে স্বাধীনতাকামী দেশ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। যারা আবার র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে আছে ৮৬ ধাপ। এই দলকে হারানোর স্বপ্ন দেখা বাড়াবাড়ি। পাঁচ দিন আগে কুয়েতে তাদের কাছেই ৫-০-তে নাস্তানাবুদ হওয়ার ঘরের মাঠে বাংলাদেশ জয়ী রূপে আবির্ভূত হবে, এমনটা আশা করাই বোকামি। তাই বলে হাল ছাড়ার সুযোগ নেই হাভিয়ের কাবরেরার।

জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ বিশ্বাস রাখতে চান শিষ্যদের ওপর। তাদের বোঝাতে চান, একটা হারে সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। বরং হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্রই শিষ্যদের হৃদয়ে গেঁথে দিচ্ছেন তিনি, যা পুঁজি করে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখার চ্যালেঞ্জ জামাল ভূঁইয়াদের সামনে।

কুয়েতে কাবরেরার কৌশল, একাদশ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অনেক। ফিলিস্তিনের মতো দলের বিপক্ষে হাইলাইন ডিফেন্স করে খেলা যে আত্মঘাতী, তা তো সে রাতেই প্রমাণিত। রক্ষণ আলগা করে গোলের চেষ্টা করা, এক তারেক কাজির শূন্যতা পূরণে পুরো ডিফেন্স লাইনে ওলট-পালট করে দেওয়ার চড়া মাসুল পাঁচ গোল হজম। তবে কাবরেরাকে হারের হতাশা আর ভুলগুলো নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। তাকে চোখ রাখতে হবে সামনে।

কুয়েতের ম্যাচের কিছু ভুল নিজেই ধরিয়ে দিলেন বুধবার, ‘সবসময় আমাদের লক্ষ্য থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়াই করা, যেটা আমরা কুয়েতেও চেষ্টা করেছিলাম। ফিলিস্তিনের শক্তির জায়গাটা আমরা জানি। বক্সের ভেতরে তারা আমাদের জন্য ভীষণ হুমকি হয়ে উঠতে পারে যেকোনো সময়। তাই আমাদের চেষ্টা থাকবে ডিফেন্সকে আরও নিরেট করা এবং আগ্রাসী হওয়া। (প্রথম লেগে) প্রতিপক্ষের অর্ধে আমরা অনেক বল খেলেছি। ট্রানজিশনেরও ভালো ছিলাম, যদি আমরা আরও বেশি নিখুঁত হতে পারতাম, তাহলে তাদের আগেই গোল পেতাম। এরপর তারা ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন করে তোলে। প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সে হয়তো আমরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিলাম। যখন আমরা দেখলাম ওদের চোখে চোখ রেখে খেলতে পারি, তখন আমরা ওপরে উঠতে থাকলাম, চাপ দিতে লাগলাম। একটা সময় উচিত ছিল ছেলেদের বলা তোমরা শান্ত হও, নিজেদের রক্ষা করে খেলো। যাই হোক, ওই পরিস্থিতি থেকে আমরা শিখব। আমরা পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে যাব।’

২০২৬ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে চোখ রেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট আদায় করা বড্ড জরুরি ফিলিস্তিনের জন্য। তাই বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনে অভিভূত হলেও মাঠের লড়াইয়ে এক ইঞ্চি ছাড় দিতে নারাজ কোচ মাকরাম দাবউব, ‘এখানে এসে উন্নতির মধ্যে থাকা বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে খেলা সহজ নয়। কাজটা কঠিন, তবে আমরা ৩ পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে এখানে এসেছি, যা আমাদের পরের ধাপে যেতে সহায়তা করবে। আমরা বাংলাদেশকে সম্মান করি, তবে এখানে একটা লক্ষ্য পূরণ করতে এসেছি।’

কিংস অ্যারেনায় আগের চার ম্যাচের এক জয় এবং তিন ড্রয়ের অনন্য রেকর্ড এগিয়ে নিতে থামাতে হবে ফিলিস্তিনের ভয়ংকর আক্রমণভাগ। যারা আজও চেষ্টা করবে আগ্রাসী রূপে বাংলাদেশকে ছারখার করতে। তবে তাদের রুখে দেওয়ার কাজটা ঠিকঠাক করা গেলে আস্থা ফিরবে কাবরেরা শিষ্যদের ওপর। সেটা যে অনেকটাই টলে গেছে কুয়েতের মাটিতে।