সদস্য পদ থেকেও রাজশাহীর প্রতারক মোস্তাফিজের প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দিবে রেডা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সদস্য পদ থেকেও প্রতারক মোস্তাফিজুর রহমানের গ্রীণ প্লাজা রিয়েলে এ্যাস্টেটকে অব্যাহতি দিবে রাজশাহীর আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রেডা। রাজশাহী আবাসন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কাজী বিষয়টি সিল্কসিটিনিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। রাজশাহীতে ফিরে মিটিং করে মোস্তাফিজকে রেডার সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।তার কারণে আমাদের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। রাজশাহীর আবাসন ব্যবসার যে সুনাম রয়েছে, সেটি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সে অনেক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তার কারণে রাজশাহীর আবাসন ব্যবসায়ীরা দায় নিতে পারে না। রাজশাহীর আবাসন ব্যবসায়ী অন্তত ৫ হাজার মানুষের কর্মস্থান হয়েছে। এতোগুলোর মানুষের রুটি-রুজিও এখন হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা এতো কষ্ট করার পরেও একটা দামি গাড়ীতে চড়তে পারি না। আর মাত্র কয়েকদিন আগে এ ব্যবসায় নাম লিখিয়ে কিভাবে মোস্তাফিজ কোটি টাকা দামের গাড়িতে ঘুরতে পারে?’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি মোস্তাফিজ একটা ভবনও এখনো পুরোপুরি হস্তান্তর করতে পারেনি। যেসব ফ্ল্যাট বিক্রি করেছে, তার মধ্যে অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে। সে কিভাবে এতো দ্রুত রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সদস্য পদ পেলো এটিও ভেবে দেখার দরকার।’

এদিকে, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে প্রতারণার চারটি অভিযোগ ছিল আমাদের কাছে। এর পর তাকে পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এখন চেম্বারের সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। সে এখনো পরিচালক হিসেবে মানুষের কাছে পরিচয় দেয়। আমরা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেটি পরিস্কার করবো। তার অপকর্মের দায় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স নিবে না।’

প্রসঙ্গত, মাত্র ১০-১২ বছর আগেও রাজশাহীর একটি বেসরকারি কোম্পানির অফিস সহকারী ছিলেন মোস্তাফিজ। পড়াশোনার খরচ যোগাতে প্রয়াত এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ধর্ম বাবা এবং তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানাকে মা পাতিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। তাদের নিকট থেকেও প্রতারণা করে প্রায় কোটি টাকা এবং ৩ কাঠার একটি জমি আবাসন ব্যবসার নাম করে নেন মোস্তাফিজ। এরপর থেকে মোস্তাফিজের উত্থান শুরু হয় রাজশাহী নগরীতে। একের পর এক প্রতারণা করে মাত্র পাঁচ সাত বছরের মাথায় সেই প্রতারক মোস্তাফিজ অন্তত ২০ কোটি টাকার মালিক হয়ে যান।

তাকে নিয়ে গত ২১ মার্চ একটি অনুসন্ধানী খবর প্রকাশ হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে আরো নানা অভিযোগ আসতে থাকে। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন সেই প্রতারক মোস্তাফিজ।

স.আর