“সোশ্যাল হিরো”

নাহিদ নওরোজ


বাইরের চাকচিক্য,শো-অফ,অভিনয়, প্রহসন সকলেই দেখে
কিন্তু বুকের গোপন রক্তক্ষরণের গান কে শোনে?
সে সকরুণ সুর-লহরী কার কর্ণকুহরে পৌঁছায়?
অসহায় বিপ্লবী হৃদয়ের মর্মন্তুদ আহুতি বাতাসে ভাসে নিদারুণ।
প্রতিনিয়ত ন্যায়ের স্বপক্ষে দাঁড়ানো কত মজলুম আত্মার গোপন পোস্টমর্টেম হয় অহরহ!
শত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বরগুলি অপশক্তির চাপে অবদমিত হয়,
কুচক্রীদের তৈরি মিথ্যের নোংরা আস্তরণ দেখে প্রভাবিত হয় ঊর্ধ্বতলার অধিবাসীরাও।
পুঁজিবাদী-বুর্জোয়াদের বাজার দরে কেনা সত্যরুপী মিথ্যার ভিড়ে একদা আসলটাই মুষড়ে পড়ে হারিয়ে যায়..
সত্য রবির অস্তে আত্মা চমকে উঠে
ভয়চিত্ত নয়নে দেখে সত্যের কাঁপুনি আর মিথ্যা ক্ষমতার দাপুটে দৌরাত্ম।
সব দেখেও মানুষ বুঝে না বুঝে সারাক্ষণ রং বদলায়
এ ক্ষণ-কালের বিবর্তনে তাই প্রকৃতির রঙ বদলানোটাও আজকাল মেকি মনে হয়।
‘একলা চলরে’ -গানে মন্ত্রমুগ্ধ বিপ্লবীরা হাজারো বেড়াজালের বাধা-বিপত্তি ঠেলে ভয়যুক্ত পথ অতিক্রান্ত হয়;
সৃষ্টির আদিকাল হতে অভিভাবকহীন বিপ্লবীদের কখনো কারো উপর নির্ভরশীল হতে নেই।
বিপ্লবীরা পা-চেটে বা কেঁদে দেখিয়ে দয়া-দাক্ষিণ্য আদায় করতে পারেনা,
বরং বুকটা কষ্টে খুব বেশি ভারী হয়ে আসলে…
গোপন যন্ত্রণার স্তুপগুলি নাইয়ে বোঝায় করে সৃষ্টিকর্তা নামক নীরব দর্শকের কাছে পাঠায়।
কালক্রমে নিঃস্বার্থ কর্মগুলি ‘কীর্তিমান’ শব্দে অলংকৃত হয়ে বাহবা না পেলেও,
বারংবার আশাহত বিপ্লবীরা বাঁচে তাদের কর্ম ও বিশ্বাসে,
…………………………………….প্রতিটি নিঃশ্বাসে।
উৎসর্গ: মাহমুদুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাগমারা উপজেলা, বাগমারা, রাজশাহী।