সোনামসজিদে হযরত শাহনেয়ামতুলাহ (রঃ) এর ঔরশ: রোহিঙ্গাদের জন্য দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদে অবস্থিত হযরত শাহ নেয়ামতুলাহ (রঃ) এর পবিত্র ঔরশ শরীফ ঐতিহাসিক গৌড়ের তোহাখানায় প্রতি বছরের মত এবছরও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ গ্রহণ করে। এ উপলক্ষে তোহখানা চত্বরে কোরআনখানী ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয় ঔরশভূক্তদের মানত পালন হয়।
ঔরশ ভূক্তরা বিশ্বাস করে মুরগি, কবুতর, হাঁস ইত্যাদি মানত করে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঔরশভূক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে। সকাল সাড়ে ১০টায় দোয়া মাহফিলের পর তোহাখানা   মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষমোনাজাত করা হয়।
খুতবায় প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যের মুসলমান রোহিঙ্গাদের উপরে   অমানুষিক নির্যাতন, বাড়ি-ঘর জ্বালাও-পোড়াও, গণ ধর্ষণ ও গণহত্যাবন্ধের জোর দাবি ও তীব্র নিন্দা জানাই বিভিন্ন জেলা থেকেছুটে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
এছাড়াও তোহাখানায় অবস্থিত হজরত শাহ নেয়ামতুলাহ (রঃ) মাজারের পাশে জামে মসজিদও সহস্রাধিক মুসল্লিগণ বিশেষ মোনাজাতের মধ্যেদিয়ে মুসলমান রোহিঙ্গাদের   উপরে   অমানুষিক   নির্যাতন,বাড়ি-ঘর   জ্বালাও-পোড়াও, গণ ধর্ষণ ও গণহত্যা বন্ধের জোরদাবি, রোহিঙ্গাদের   পুনর্বাসন, নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ রোহিঙ্গাদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানান।
এছাড়া বাংলাদের প্রবেশকৃত রোহিঙ্গা  শরণার্থীদের আশ্রয় ও ত্রাণ  ব্যবস্থা, চিকিৎসাসেবা  দেয়ার   জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয় পবিত্র ঔশরথেকে। পরে জুম্মার নামায শেষে বিশ্ব মুসলিম জাহান উম্মাতের শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন মুসল্লিগণ। ইবাদত বন্দেগির মধ্যে দিয়ে পালিত হয় পবিত্র ঔরশ।
জুম্মার নামাজের পরবিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লিদের শাহ নেয়ামতুলাহ (রঃ)এর   পুরাতন   পরিধানের বিভিন্ন পোষাক ও আসবাবপত্র দর্শণাধীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
এরআগে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা ঔরশে অংশ গ্রহণ   করে এবং এবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে রাত কাটায়। ঔরশ শরীফ উপলক্ষ্যে সোনামসজিদের রাস্তার দু’ধারে বিভিন্ন জিনিস-পত্রের মেলাবসে। মেলা প্রাঙ্গন ও ঔরস এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থানেয়া হয়।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবাও পবিত্র ঔরশ পালন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিগণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এবছর থানা পুলিশের ২২জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা নিরাপত্তারকাজে দায়িত্ব পালন করে। পাশাপাশি গ্রাম-পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্যরাও নিরাপত্তার কাজে সহযোগিতা করেন। পবিত্র   ঔরশ পালন চলাকালে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে ওরশ।
স/অ