সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীর মামলা

সালিশ বৈঠকের সুযোগে কিশোরীকে বিয়ে করে সমালোচিত সেই ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফলে টিকাদান কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিন সিকদার বাদী হয়ে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে করোনা টিকার কার্যক্রম চলার সময় বেলা ১১টার দিকে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আসেন। এসময় চেয়ারম্যান স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিন সিকদারকে তার নির্দেশ অনুযায়ী টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেন। আল আমিন সিকদার চেয়ারম্যানের নির্দেশ পালন না করায় তাকে কিলঘুষি ও লাথি মারেন।

একপর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী আল আমিন অচেতন হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলে পরে সহকর্মীদের সেবায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। এসময় সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাছলিমা নাজনিন তাছলিমা এর প্রতিবাদ করলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন চেয়ারম্যান।

ঘটনার পরের দিন রবিবার স্বাস্থ্যকর্মী আল আমিন ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাছলিমা নাজনিন ঘটনাটি লিখিতভাবে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানান।

বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, ‘নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। যারা আইডি কার্ড নিয়ে আসবে তারা টিকা পাবে। অথচ এখানে টিকা দিতে এসে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে টিকা দিচ্ছে। ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে আমি প্রতিবাদ করেছি। কাউকে মারধর কিংবা গালাগালি করার অভিযোগ সত্য নয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মামলা করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন সালিশ বৈঠকে এক কিশোরীকে জোড়পূর্বক বিয়ে করে ব্যাপক সমালোচিত হন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। শাহিন হাওলাদার বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ইউপি থেকে নৌকা প্রতীকে পর পর দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন