অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

সুমন আলীকে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে গেলেন চট্রগামে


বাঘা প্রতিনিধি :
সুমন আলী (২৬) নামের এক যুবককে ইতালিতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে গেলেন চট্রগামে। সেখান থেকে তাকে অপহরণ করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় তার বড় ভাই সুজন আলী বাদি হয়ে রোববার (৭ মে) বাঘা থানায় সাধারণ ডাইরী জিডি করেন। সুমন আলী বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা ঠাকুরপাড়া গ্রামের আকাল আলীর ছেলে।

জানা যায়, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা ঠাকুরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসি ওয়াহিদ আলীর মাধ্যমে জৈনেক আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তির সাথে সুমন আলীর পরিচয় হয়। তারপর সে ইতালিতে পাঠানোর জন্য আগ্রহী করে তুলেন। তার কথামতো ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রায় তিন মাস আগে আবদুর রহিমের সাথে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক তার প্রয়োজনী কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। সেই মোতাবেক তার শনিবার (৫ মে) ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।

এ বিষয়ে সুমন আলীর বড় ভাই সুজন আলী বলেন, ইতালি যাবে মর্মে আমার ছোট ভাইকে ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এগিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে উঠে চট্রগ্রাম বিমানবন্দরে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাকে বলা হয় ইতালিতে পৌঁছে গেছি। আমার ধারণা তাকে বিমানবন্দর থেকে চট্রগ্রামের কোন পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। এ টাকা না দিলে সুমনের ক্ষতি হবে। সুমন কি অবস্থায় আছে জানিনা। তারপর থেকে আমার বাবা মা তার চিন্তায় খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তুবে সুমনের ফোন থেকে বারবার টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে আকাল আলী বলেন, ‘ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলাম। এখন একুলও গেল ও কুলও গেল।
বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি সাধারণ জিডি পেয়েছি। তাকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের একটি টিম ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।