প্রদীপ সাহা, সাপাহার:
নওগাঁ সাপাহারে সুস্বাদু ‘প্যাশন’ ফল চাষের অপার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই ফল থেকে ট্যাংয়ের মতো শরবত তৈরি হয় বলে আমাদের দেশে এটি ট্যাং ফল নামে বেশ পরিচিতি।
উপজেলার দিবর ইউনিয়নের রূপগ্রাম এগ্রো ফার্মের পরিচালক সোহেল রানা সিল্কসিটি নিউজকে জানান, ২০১৫ সালে ঢাকা জাতীয় বৃক্ষ মেলা থেকে কয়েকটি প্যাশন ফলের কাটিং চারা সংগ্রহ করে খামারে রোপন করেন। লতানো এই গাছটি দ্রুত বারতে থাকলে একটি মাচা করে দেন। এক বছর পর গত জুলাই মাস থেকে গাছে ফুল ফোটা শুরু করে। ইত্যেমধ্যে একটি গাছে ১৮ থেকে ২০ টি করে ফল ধরেছে। এছাড়াও প্রায় ১‘শ ফুল গাছটিতে দেখা যাচ্ছে ।
উল্লেখ্য, গাছটিতে বছরে দু’বার ফল ধরে। প্রথমবার মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল আসে এবং জুন-আগস্ট মাসে ফল পাওয়া যায়। দ্বিতীয়বার জুলাই-আগস্ট মাসে ফুল আসে এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ফল পাওয়া যায়।
জেলায় আরো বেশি করে এই ফল চাষে বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণ চাষিদের আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তাই এ ফল চাষে প্রশিক্ষণ এবং সার্বক্ষণিক কৃষি পরামর্শ চেয়েছেন স্থানীয়রা।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্যাশন বা ট্যাং ফল তুলনামূলকভাবে দেশে কম প্রচলিত তবে বিভিন্ন নার্সারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে সীমিত আকারে চাষ হচ্ছে এ ফল। এই ফলের শরবত অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন সি এতই বেশি যে ফলের এক-চতুর্থাংশ একজন মানুষের নিত্যদিনের ভিটামিন সি’র চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
এই গাছ লতানো, পাতা সবুজ ও কিনারা গভীরভাবে খাঁজকাটা। ফল সুগোল, বড় সফেদা আকারে দেখতে এবং খোসা শক্ত। পাকা-ফলের রং হলদেটে। ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘প্যাসিফ্লোরা ইডিউলাস’। ফলটি সুস্বাদ ও উপকারিতার কারণে অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়।
স/অ