সরকার ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে : বাম জোট

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, নানা কারসাজির মাধ্যমে সরকার ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্র হরণ করে দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। লুটপাট আর বৈষম্যের দেশ বানিয়েছে। এই সংকট উত্তরণের সংগ্রাম জোরদার করতে বাম-প্রগতিশীল দল, সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।

শুক্রবার পূর্ব ঘোষিত ‘কালো দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এ আহ্বান জানান। মুখে কালো কাপড় বেঁধে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তদারকি সরকারের বিষয়ে আলোচনা শুরুর দাবি জানান তারা। সমাবেশ থেকে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, ভোটাধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি, লুটপাট রুখে দাঁড়ানো ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ জনজীবনের সংকট সমাধানে আগামী ৯ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সমাবেশে নেতারা বলেন, বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে ও অতীত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা মুখে ভালো কথা বললেও ক্ষমতায় যেয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থ দেখেনি। মুখে সংবিধানের কথা বললেও সংবিধানে যে অর্থনৈতিক রূপরেখা ও শ্রমিকের মজুরিসহ জনগণের স্বার্থের কথা লেখা আছে তা মানেনি। এখন এসব দল আবার কথার ফুলঝুরি ছড়াচ্ছে। তাই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ জনজীবনের সমস্যা সমাধানে বাম জোট ঘোষিত আশু ১০ দফা কর্মসূচিতে নীতিনিষ্ঠভাবে সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান তারা।

বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ ও খালেকুজ্জামান লিপন, বাসদ (মার্কসবাদী)’র মাসুদ রানা, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের হারুন অর রশীদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আব্দুল আলী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে কালো পতাকা হাতে বাম জোটের একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী ‘কালো দিবস’ পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বাম জোট।

সূত্র: যুগান্তর