সরকারের পদত্যাগ দাবিতে থাইল্যান্ডে ব্যাপক বিক্ষোভ

সরকারের পদত্যাগ, সংবিধান পরিবর্তন এবং বিরোধী অ্যাক্টিভিস্টদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে থাইল্যান্ডে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির রাজধানী শহর ব্যাংককে দশ হাজারের বেশি মানুষ জমায়েত হয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেন। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

গত মাস থেকে দেশটির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ করছেন। তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, রোববারের এই গণবিক্ষোভে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহন দেশের পরিবর্তনের প্রতি জনআকাঙক্ষার প্রতিফলন। বিক্ষোভকারীর বর্তমান শাসন কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কুক্কি নামের ২৯ বছর বয়সী স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিভিন্ন বয়সের মানুষ এখানে একত্রিত হয়েছি। একনায়কতন্ত্রের পতন হোক, গণতন্ত্র জিন্দাবাদ।’

গত বছর বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহন করা প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সাবেক সামরিক সরকারের নেতা প্রায়ুত চান-ওছার পদত্যাগ ছাড়াও বিক্ষোভকারী কিছু গোষ্ঠী দেশটির ক্ষমতাধর রাজতন্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপেরও আহ্বান জানিয়েছে— যা নিয়ে কথা বলা এক সময় নিষিদ্ধ ছিল থাইল্যান্ডে।

থানইয়ার্ক সুকসারাদ নামে ৫০ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী বলছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় নামা শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিতে চাই আমি। এ ছাড়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের যে দাবি তুলে তারা আন্দোলন করছে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আমার।’ তার মতো আরও অনেকেই এই বিক্ষোভকে সমর্থন জানাচ্ছেন।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রায়ুত চান-ওছার ক্ষমতা দখলের পর থাইল্যান্ডে এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। বিশাল এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আনুমানিক ৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে সরকার। আগামীতে বিক্ষোভ আরও বড় রুপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।