শিক্ষককে পেটানো আরএমপি’র ডিসির শাস্তির দাবিতে সামাজিক গণমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ছে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবদেক:

সড়কে যানজটের কারণে সাইড দিতে দেরি হওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তা গাড়ি থেকে নেমে মোটরসাইকেল আরোহী কলেজ শিক্ষকসহ চারজনকে বেদম পেটানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আজ রাজশাহীতে মানববন্ধনও করেছেন শিক্ষকরা।

অন্যদিকে রাজশাহী মহানগরীর উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি পশ্চিম) একেএম নাহিদুল ইসলামের শাস্তির দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও প্রতিবাদের ঝড় চলছে। ফেসবুকে উঠে আসা কয়েকটি প্রতিক্রিয়া সিল্কসিটি নিউজের পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো-

নজরুল ইসলাম নামের একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শিক্ষকদের পেটালে কিচ্ছু হয় না। এরা সমাজের পঞ্চম শ্রেণীর নাগরিক!, মুঞ্জুর খান নামের একজন লিখেছেন,রাস্তায় পুলিশের আচরণ ক্রমশঃ হিংস্রহয়ে উঠছে’। 

মোস্তাফিজর রহমান নয়ন নামের একজন লিখেছেন, ‘এইটা কি ধরনের আচরণ শিক্ষকের সাথে কোনোভাবেই এইগুলো মেনে নেওয়া যায় না। তদন্ত করে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত।’

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি পশ্চিম) একেএম নাহিদুল ইসলাম কলেজ শিক্ষক, সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তাসহ পেটানো অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।

এবিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষক নেতারা এসে মৌখিক অভিযোগ করে গেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আহতরা হলেন- নগরীর বঙ্গবন্ধু কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম, সিটি কর্পোরেশনের  ২নং ওয়ার্ডের সচিব ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ ও ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ।

এদিকে, এঘটনার পর কলেজ শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ছড়িযে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে এঘটনার বিচার ও ডিসি নাহিদের অপসারণ দাবি করে মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি ও  জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের নেতারা।

জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা  বলেন, ট্রাফিক জ্যামের কারণে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাইড দিতে দেরি হওয়ায় কলেজ শিক্ষককে রাস্তায় ধরে পেটাবেন তা মেনে নেয়া হবে না। ডিসি নাহিদের এই ঔদ্ধত’র বিচার করতে হবে। তাকে অপসারণ করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।

স/আর