ভিড় বেড়েছে কাপড়ের দোকান ও দর্জি বাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলছে রমজান মাস। এর মধ্যে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। নতুন পোশাক প্রস্তুতের জন্য যেতে হয় দর্জি বাড়ি। তাই ব্যস্ততা পোশাক বিক্রেতা থেকে শুরু করে কমতি নেই দর্জি বাড়িতেও। বিক্রেতারা বলছেন, এবার ঈদে থ্রি-পিসের চাহিদাই বেশি। আর টেইলার্স মালিকরা বলছেন, অর্ডার নেয়া হবে ১৫ থেকে ১৮ রমজান পর্যন্ত।

প্রতিবছর রমজানের শুরুতে নগরীর কাপড়পট্টি, সাহেববাজারে বেড়েছে ক্রেতার সমাগম। পছন্দের পোশাকের জন্য কাপড় কিনে মানুষ ছুটছেন দর্জি বাড়িতে। ভিড় এড়াতে আগেভাগেই দিচ্ছেন, নিজের পছন্দের পোশাকের অর্ডার। তাদের অর্ডার অনুযায়ী পোশাক সরবরাহে সমান তালে কাজ করছেন কারিগররা। তবে এই সপ্তাহের মধ্যে পোশাক বিক্রি ও দর্জির কাজ পুরো দমে শুরু হবে এমনটি আশা করছেন তারা।

নগরীর সাহেববাজার এলাকার সানহিদ থ্রি পিস ক্লথ স্টোরের বিক্রেতা রায়হান বলেন, এবার সুতি কাপড় বেশি চলছে। জরজেট ফোরপিস ও সুতি থ্রি পিসের চাহিদাও বেশি। জরজেট ২২’শ থেকে ২৫’শ ও সুজি থ্রি পিস হাজার থেকে ১৫’শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

থ্রি পিস কিনতে আসা শুভো ইসলাম বলেন, ঈদের এখনো কিছু দিন বাকি আছে। তাই আস্তে আস্তে একটা দুইটা করে কাপড় কিনছি। ছোট ভাই ও মায়ের জন্য কাপড় কিনলাম। বাকি আছে ভাই ও বাবার। তবে গরমের কথা ভেবে সবার জন্য সুতির মধ্যেই কেনার চেষ্টা করছি।

নগরীর সোনাদিঘির মোড় এলাকার বর্ষ টেইলার্সের মালিক মানিক বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার কাজ একটু বেশি। আশা করছি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কাজের চাপ আরো বাড়বে। আমরা কাজের অর্ডার অনেক পেয়েছি। ১৫ থেকে ১৮ রমজান পর্যন্ত অর্ডার নেবো, আর বেশি কাজ পেলে তার আগেই বন্ধ করে দেব।

তিনি আরো জানান, এবারের ঈদ গরম ও পুরো বর্ষায়। যে কারণে কাপড় নির্বাচনে এসেছে বৈচিত্র। আরামদায়ক পোশাকের জন্য সুতি কাপড় বেশি কিনছেন ক্রেতারা। মেয়েদের পোশাকে ঘটি বা ম্যাগি হাতা, থ্রি কোয়ার্টার হাতার চাহিদা বেশি।

টেইলার্সে পোশাক তৈরি করতে দিতে আসা মীম খাতুন বলেন, পোশাক তৈরি করতে দিলাম। কয়েক দিন পরে আর দর্জিরা নিবে না কাপড়। তাই আগে-ভাগে বানাতে দিলাম।

 

স/আ