শিক্ষককে মারপিট: ডিসি নাহিদুলের প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: মহানগরীর উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি পশ্চিম) একেএম নাহিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার ও তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বঙ্গবন্ধু কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

মানববন্ধনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবু রাজকুমার সরকার। তিনি বলেন, যারা আইন করে তারাই আবার আইন ভঙ্গ করে। প্রশাসেনের লোক হাতের যদি কোন মানুষ লাঞ্চিত হয় তাহলে মানুষ কার কাছে গিয়ে দ্বারাবে। পুলিশ কর্মকর্তা নাহিদুল কি কখনো কোন শিক্ষকের কাছে লেখা পড়া করেনি? তাহলে কেনো শিক্ষকদের সাথে এমন আচরণ তার। আমরা এই পুলিশ কর্মকর্তার অবিলম্বে প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষক পরিচায় দিয়েছেলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন আমি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষক তার পরেও কেনো তার সাঙ্গে এমন খারপ আচারণ করলেন পুলিশ কর্মকর্তা নাহিদুল। এমন পুলিশ কর্মকর্তাকে রাজশাহী থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছে তিনি সাত দিনের কথা বলেছে। সাত দিনের মধ্যে এই পুলিশ কর্মকর্তা নাহিদকে প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের যাব রাজশাহী শিক্ষকরা।

মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বের পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান।

এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, বঙ্গবন্ধু কলেজ শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি কামরুজ্জামান, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক লুৎফর রহমান, গণিত বিভাগের প্রভাষক শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ওয়াহেদা সুলতানাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার নগরীর বন্ধগেট-বর্ণালী মোড় এলাকায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি পশ্চিম) একেএম নাহিদুল ইসলাম কলেজ শিক্ষক, সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তাসহ পেটানোর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এবিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষক নেতারা এসে মৌখিক অভিযোগ করে গেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আহতরা হলেন- নগরীর বঙ্গবন্ধু কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম, সিটি কর্পোরেশনের  ২নং ওয়ার্ডের সচিব ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ ও ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ।

 

স/আ