শাশুড়ির চড় মারলেন জামাইকে, পরিণতি হল মর্মান্তিক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের ঝগড়া। সোমবার রাতে জামাইয়ের বন্ধুদের সামনেই তাঁকে চড় মেরেছিলেন শাশুড়ি। মঙ্গলবার সকালে পূর্ব পুঁটিয়ারির দক্ষিণপাড়া আনন্দপল্লি থেকে উদ্ধার হয় জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম পিন্টু মালিক (২৫)। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ মামলা রুজু করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শাশুড়িকে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে দক্ষিণপাড়ায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন পিন্টু। সেসময় সুচিত্রা সর্দারের মেয়ে মায়ার সঙ্গে সম্পর্ক হয় তাঁর। সাত বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। টলিপাড়ায় মাঝেমাঝে ছোটখাটো কাজ করতেন পিন্টু। বিয়ের পর থেকে টাকাপয়সা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকত। অশান্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে কয়েকমাস আগে দক্ষিণপাড়ায় বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন মায়া। গত নভেম্বর মাসে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু তারপরও কমেনি বিরোধ। মৃতের মা অপর্ণার অভিযোগ, ‘‘বউমার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। ভাল রোজগার করতে পারে না বলে ছেলেকে অশ্লীল কথা বলত বউমা।’’

সোমবার রাতে স্ত্রীয়ের কাছে গিয়েছিলেন পিন্টু। ছেলেকে কোলে নেওয়া নিয়ে ফের ঝগড়া শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। সেসময় পিন্টুর শাশুড়ি তাঁকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা তন্ময় দাস ওরফে বিকু বলেন, ‘‘বন্ধুদের সামনে পিন্টুকে চড় মেরেছিলেন তাঁর শাশুড়ি। মন খারাপ করে বসেছিল। আমরাই বাড়ি যেতে বলি।’’ রাতে বাড়ি ফিরে কিছু খাননি পিন্টু। মঙ্গলবার সকালে ছেলেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন অপর্ণা। সঙ্গে সঙ্গে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা পিন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিন দক্ষিণপাড়ায় গিয়ে দেখা গেল, ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন প্রতিবেশীরা। পাড়ায় জটলা। প্রত্যেকেই চান অভিযুক্তদের শাস্তি হোক। আটমাসের ছেলেকে কোলে নিয়ে মায়া বলেন, ‘‘আমাকে গালিগালাজ করেছিল পিন্টু। তারপরই চড় মারে আমার মা।’’ তবে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওই যুবকের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক ছিল না। তিনি আমাকে একবার ভাল চিকিৎসকের সন্ধান দিয়েছিলেন।’’ খোঁজ নেই ওই যুবকের। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও এদিন যোগাযোগ করা যায়নি।