শপিংমল-দোকান খুলতেই রাজশাহীর বাজারে উপচে পড়া ভিড়

No description available.

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা ভাইরাসের কারণে  টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল ও ব্যবসায়িক দোকানপাট খুলেছে।

আর শপিংমল-দোকান খুলতেই রাজশাহীর বাজারে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে ক্রেতাদের। হাট-বাজার, দোকানপাট, মার্কেট সর্বত্রই জনসমাগম বেড়েছে। আরডিএ মার্কেটে  নেমেছে মানুষের ঢল। ব্যবসায়ীরাও তাদের দোকানপাট খুলে স্বাভাবিক নিয়মেই ব্যবসা করছেন।

এছাড়া মার্কেটের সামনের সড়কের ব্যবসায়ীরাও আগের মত বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, তারা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই তাদের দোকানপাট খোলা রেখেছেন। আর সকাল থেকেই রাজশাহীর অধিকাংশ বিপণিবিতান ও রাস্তাঘাটে ছিল যানজট। মানুষ স্বাভাবিক নিয়মেই আবারও বাইরে বের হচ্ছেন এবং কেনাকাটা করছেন।

বাজার আরডিএ মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, সব দোকানই খুলেছে। প্রতিটি দোকানের সামনের অংশে কেবল নামকাওয়াস্তে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে।  এছাড়া জীবাণুনাশক স্প্রে রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন মুখে মাস্ক পরে ব্যবসা করছেন। ক্রেতাদের মধ্যে কিছু সচেতন মানুষ মুখে মাস্ক পরছেন। তবে, নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব কেউই বজায় রাখছেন না।

No description available.

পাশে থাকা দায়িত্বরত পুলিশ বার বার হ্যান্ড মাইক নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু কেউ তার তোয়াক্কা করছেন না।

এদিকে সড়কে কোনো গণপরিবহন দেখা না গেলেও রোববার অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচল করছে। সবাই আগের মতই গাদাগাদি করে যানবাহনে উঠছেন। এছাড়া পণ্য পরিবহনের ট্রাক ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।

এছাড়া মহানগরীর নওদাপাড়া আমচত্বর, গোরহাঙ্গা রেলগেট, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, তালাইমারীসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ যানবাহন চলাচল সীমিত করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও গণজমায়েত ঠেকানোরও চেষ্টা চলছে। মুখে মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হলে তাদের সতর্ক করছে পুলিশ। সবার মধ্যে বিনামূল্যে মাস্কও বিতরণ চলছে। কিন্তু এরপরও মহানগরীজুড়ে অনেক মানুষের চলাচলও দেখা গেছে।

এর আগে, করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন বা বিধিনিষেধ ছিল। তবে, গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর। এরপর সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি করে। আর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ২৫ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকানপাট খোলা রাখা যাবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করে। রোববার সকাল থেকে তা কার্যকর হয়েছে। আর আগামী ২৮ এপ্রিলের পর দেশে আর লকডাউন থাকছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধীরে ধীরে সবকিছু খুলবে। চালু হবে গণপরিবহন, সীমিত পরিসরে খুলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস বলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আগামী ২৮ এপ্রিলের পর বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। কিন্তু নো মাস্ক নো সার্ভিস- এটা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে।

আরো পড়ুন …কঠোর লকডাউনের খবরে রাজশাহীর বাজারে উপচেপড়া ভিড় (ভিডিও)