বৃহস্পতিবার , ১৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

লালপুরে সাপের বিষে শিশুর মৃত্যু!

Paris
আগস্ট ১৭, ২০২৩ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ

লালপুর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরে সাপের বিষে আসমানী খাতুন (১১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট ২০২৩) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। সে উপজেলার বাকনা গ্রামের রাজমিস্ত্রি মো. আব্দুল্লার মেয়ে ও মঞ্জিলপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
নিহতের মা বেলি খাতুন বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে মেয়ে আসমানী খাতুন পেটের ব্যথা বলে ঘুম থেকে জেগে উঠলে ঘরে রাখা গ্লাসের পানি পান করান। এরপর সে বমি করতে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ও স্যালাইন খাওয়ানো হয়। এ সময় ঘরের মধ্যে তারা একটি সাপ দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন পিটিয়ে মেরে ফেলেন। এদিকে মেয়ের পেটের ব্যথা না কমায় ভোর সোয়া ৫টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে সে মারা যায়।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. খোরশেদ আলম বলেন, পরিবার থেকে পেটের ব্যথা বলে ভোর সোয়া ৫টার দিকে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাড়ে ৬টার দিকে তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় ও বমি করতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে অক্সিজেন দেওয়া হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রাজশাহী নেওয়ার প্রস্তুতিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
তিনি আরো বলেন, রোগীর পরিবারের কথা অনুযায়ী তাকে পেটের ব্যথা ও বমি বন্ধের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুকালের লক্ষণ অনুযায়ী অত্যাধিক বিষ ক্রিয়ায় মৃত্যু হতে পারে। যেহেতু তারা সাপে কামড়ের বিষয়টি জানায়নি তাই বিষের কোন প্রতিষেধক কোন ওষুধ দেওয়া হয়নি।
মঞ্জিলপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রতিবেশি মো. লুৎফর রহমান বলেন, সে ওই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী ছিল। তিনি শুনেছেন পেটের ব্যথার ওষুধ খাওয়ার পর বমি ও শরীর জ্বালা-পোড়া করতে থাকে। তাঁর ধারণা নিহতের শরীরে যেহেতু সাপে কামড়ের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি তাই পানির গ্লাসে সাপের বিষক্রিয়ায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু হতে পারে।
লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক পলাশ বলেন, নিহতের পরিবারের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন-প্রতিদিনের মতই রাতের খাবার শেষে আসমানি বাবা মায়ের সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে ঘুমের মাঝেই তাকে বিষধর সাপে কামড়ালে সে চিৎকার করে উঠে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে আসমানিকে প্রথমে পাশেই ওঝার কাছে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর