লালপুরে দিঘী দখলকে কেন্দ্র করে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

লালপুুর (নাটোর) প্রতিনিধি:

নাটোরের লালপুর উপজেলার ঈশ্বরপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মখলেছুর রহমান (৫০) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাকাত মন্ডল (৬৫) নামে অপর এক কৃষক আহত হয়েছে। তাঁরা উভয়েই ঈশ্বরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরপাড়া গ্রামে একটি সরকারি দিঘী রয়েছে। দীঘির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায় এক যুগ ধরে গ্রামের বাদশা প্রামাণিক ও সাহাবুল ইসলামের নেতৃত্বে দুটি পক্ষ গড়ে উঠেছে। গত এক যুগ ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত চলছে।
শুক্রবার (২৯অক্টোবর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সাহাবুল পক্ষের সমর্থক মখলেছুর রহমান গ্রামের মসজিদের শৌচাগারে প্রাকৃতিক কাজ শেষ করে বের হওয়া মাত্র আগে থেকে লুকিয়ে থাকা বাদশা প্রামাণিক পক্ষের লোকজন তাঁর ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা তাঁকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তারা ঈশ্বরপাড়া বাজারে গিয়ে একটি চায়ের দোকানে ছাকাত মন্ডলের ওপর হামলা করে। গুরুতর আহত মখলেছুর রহমান ও ছাকাত মন্ডলকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মখলেছুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। মখলেছুর ওই একই গ্রামের ছইমুদ্দিন মন্ডলের ছেলে। গুরুতর আহত নূর মোহাম্মদের ছেলে ছাকাত মন্ডল বর্তমানে রাজশাহী মেডিেেকল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বলেন, প্রথমে বাদশা ও আক্কাস অতর্কিতভাবে তাঁর স্বামীর ওপর হামলা করে। চাইনিজ কুড়াল দিয়ে পায়ে ও হাসুয়া দিয়ে পিঠে আঘাত করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকান্ড ঘটায়।

নিহতের ভাই মন্টু মন্ডল (৪৬) বলেন, প্রতিপক্ষরা এর আগে তাঁদের লোকজনের হাত, পা কেটে নিয়ে পঙ্গু করেছে। প্রশাসন প্রতিপক্ষকে কঠোর শাস্তি না দিলে তাঁদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ হবে না।

গ্রামবাসীরা জানান,  হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্য বাদশা পক্ষের একজনের বাড়িতে অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটায় বাবলুুর স্ত্রী আমেনা নামের এক মহিলা।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুর রহমান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এব্যাপারে লালপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এএইচ/এস