রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন ও গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলাম। তারা সেখানকার মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর নিশ্চুপ ভূমিকার সমালোচনা করেন।

 

সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে এবং তাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

 

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের প্রতিবাদ জানাতে আজ জুমার নামাজের আগেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে জড়ো হন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা। নামাজ শেষে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানুষিক নিপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি।

 

হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘জাতিসংঘের দায়িত্ব হবে অনতিবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে এই গণহত্যা বন্ধ করা। দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা। এবং আরাকানের মুসলমানদের আরাকানেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করা।’

 

হেফাজতে ইসলামের অন্য নেতারা রোহিঙ্গা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিয়ে তাদের আশ্রয় দেওয়ার দাবি জানান।

সমাবেশ শেষ করে বায়তুল মোকাররম থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। মিছিলে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন হেফাজত কর্মীরা।

 

এদিকে রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জে হাজার হাজার মুসল্লি দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। এলাকার মসজিদগুলো থেকে জুমার নামাজের পর মুসল্লিরা ব্যানার ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে কেরানীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের কদমতলী চৌরাস্তায় এসে জমায়েত হয়। এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মাওলানা লোকমান সাদী, মাওলানা আবু সাইদ, মাওলানা আবদুল গনি, মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী, মাওলানা খাদেমুল ইসলাম নাটোরী, মাওলানা বেলাল হোসেন, মাওলানা ফরিদুজ্জামানসহ এলাকার মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা। বক্তারা অবিলম্বে মিয়ানমারে মুসলমানদের হত্যাকাণ্ড বন্ধসহ তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানান।

সূত্র: এনটিভি