রুয়েটের আবাসিক হলেই চলছে মন্দিরের কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতিষ্ঠার তেপ্পান্ন বছরেও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য কোন মন্দির নির্মিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে চলছে মন্দিরের কার্যক্রম। পূর্ণাঙ্গ মন্দির নির্মাণের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি জানালেও এখনও দৃশ্যত কোন উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এতে করে ধর্মীয় কাজ পালনে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

রুয়েট সার্বজনীন পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ সূত্র মতে, রুয়েটে বর্তমানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মর্তুজা আলী শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ৪০৪ নম্বর কক্ষ মন্দিরের কার্যক্রম চালানোর জন্য বরাদ্দ দেন। এরপর থেকে ওই কক্ষেই চলছে মন্দিরের কার্যক্রম। কিন্তু কক্ষটি ছোট হওয়ায় পূজা পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আবাসিক হলে মন্দিরের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায়ও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

জানা যায়, গত সোমবার রুয়েট সার্বজনীন পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বেগ বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে দুই হাজার বর্গফুটের একটি জায়গা বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আবেদনপত্র জমা দেয়। এতে মন্দিরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে রুয়েট সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর সাহা সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই একটি মন্দির নির্মাণের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। এর জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে একটি জায়গা চেয়েছি। জায়গা বরাদ্দ পেলে মন্দিরের অবকাঠামো নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ করব।’

জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বেগ সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘মন্দিরের জায়গা বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনার জন্য পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে এ দ্রুত একটি মন্দির স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
স/শ