বুধবার , ৩ মে ২০২৩ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের সাগরিকা

Paris
মে ৩, ২০২৩ ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ভোট করতে প্রস্তুত তৃতীয় লিঙ্গের সুলতানা আহমেদ সাগরিকা। মঙ্গলবার তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

রাসিকের ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত জোন-৭ থেকে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে লড়তে চান সুলতানা আহমেদ সাগরিকা।

মনোনয়নপত্র উত্তোলনের সময় রাজশাহীর দিনের আলো হিজড়া সংঘের উপদেষ্টা শরীফ সুমন, রিখা খান, দিনের আলো হিজড়া সংঘের জেলা সভাপতি মোহনা ও কোষাধ্যক্ষ জুলি সঙ্গে ছিলেন।

সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী সুলতানা আহমেদ সাগরিকা বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলো ভিনগ্রহের কোনো মানুষ নয়। তারা এ পরিবার, সমাজ তথা দেশের মানুষ। তারা সমাজেরই অংশ। তারাও কোনো কোনো বাবা-মায়ের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে এসেছেন। কিন্তু একশ্রেণির মানুষ তাদের মানুষ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় না। দিতে চায় না স্বীকৃতি। অথচ দেশের সরকার তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। সরকারের এই স্বীকৃতি ও ভোটার হওয়ার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন। এজন্য তিনি বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

সাগরিকা আরও বলেন, সমাজের সব বাধা অতিক্রম করে তিনি এখন জনগণের সেবা করতে চান। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও যে সবার মতো মানুষকে ভালোবাসতে পারে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পানে তা তিনি দেখিয়ে দিতে চান। আর এ জন্য তিনি ওয়ার্ডবাসীর কাছে একবার সুযোগ চান। তিনি আশা করেন এলাকার মানুষ তাকে ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাগরিকার বাড়ি রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানার শিল্পীপাড়া এলাকায়। বাবা-মায়ের চার সন্তানের তিনি একজন। বাবা মারা গেছেন আগে। বর্তমানে পরিবার থেকে কিছুটা আলাদা থাকলেও মাঝেমধ্যে বাড়িতে যান। মা-বোনের সঙ্গে থাকেন ও সময় কাটান। মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করছেন সাগরিকা।

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হওয়ায় নবম শ্রেণিতে ওঠার পরে আর স্কুলে টিকতে পারেননি সাগরিকা। সহপাঠীদের নানা টিপ্পনীর কারণে তিনি স্কুল ছাড়েন। এক সময় ছাড়তে হয়েছিল বাবা-মা ও পরিবারকেও। এরপর শুরু হয় তার সংগ্রামী জীবন। তিনি দিনের আলো হিজড়া উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করেন। এবার তিনি বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে মিশে দেশ ও দশের সেবা করতে চান।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর