রাণীনগরে বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষ, লাভবান হচ্ছেন উদ্যোক্তারা

রাণীনগর প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা হচ্ছে পুষ্টিগুন সুস্বাধু ফল ড্রাগন। এই উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রাগন ফলের বাগান। বাড়ছে বাগানের পরিসর। আর এই ড্রাগন ফল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

ড্রাগন ফল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। লেখা-পড়ার পাশাপাশি ড্রাগন ফলের চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে উপজেলার রণজনিয়া গ্রামের তরুন উদ্দ্যোক্তা যুবক নাজমুল হক নাইসের।

জানা গেছে, বিদেশী ফল ড্রাগন। এটি একটি পুষ্টিগুন সুস্বাধু ফল। রাণীনগর উপজেলায় দিন দিন বৃদ্বি পাচ্ছে বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ। বাড়ছে বাগানের পরিসরও। বর্তমানে রাণীনগর উপজেলা জুড়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করা হচ্ছে।

রাণীনগর উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের রণজনিয়া গ্রামের যুবক নাজমুল হক নাইস। সে লেখা-পড়ার পাশাপাশি ২০১৬ সালে রণজনিয়া গ্রামের মাঠে তার নিজস্ব ১০ কাটা জমিতে শুরু করেন বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ। এরপর ধিরে ধিরে তিনি বর্তমানে তার নিজস্ব ৯ বিঘা জমিতে বাগান তৈরি করে বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন ফল চাষ করছেন। সেই ড্রাগনের বাগানে লাল, গোলাপী এবং সাদা রং সহ তিন জাতের ড্রাগন ফল রয়েছে। এই ফল চাষে ঔষুধের ব্যবহার কম এবং খরচ কম হওয়ায় এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। তার বাগানে ৩-৪ জন যুবক বাগান পরিচর্যা করেন। গ্রীস্মকালীন ফল ড্রাগন। বছরে আট মাস ধরে ফল পাওয়া যায়। গাছে ফুল আসার ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর পর ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। এটি একটি অধিক লাভজনক ফল। ড্রাগন ফল ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি বাজারে পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে।

লেখা-পড়ার পাশাপাশি ড্রাগন ফল চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে যুবক নাজমুল হক নাইসের। নিজস্ব ১০ কাটা জমি থেকে শুরু করে বর্তমানে তিনি ৯ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন ড্রাগন ফলের বাগান। এই তরুন উদ্দ্যোক্তা যুবক নাজমুল হক নাইস তার গ্রামের গড়ে তুলেছেন রণজনিয়া ড্রাগন ফ্রুটস্ গাডেন।

সেখান থেকে নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, চিটাগাং সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ফল পাইকারী দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে বিদেশী ড্রাগন ফলের বাগান। আর এই পুষ্টিগুন সুস্বাধু ফল ড্রাগন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। খরচ কম অর্ধিক লাভজন ফল হওয়ায় ড্রাগন চাষে লাভবান হচ্চেন উদ্যোক্তারা। আর বিদেশী ফল ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন রাণীনগর উপজেলার কৃষকরা।

তরুন উদ্দ্যোক্তা নাজমুল হক নাইস জানান, নিজে কিছু করতে চাই। তাই এই জন্য লেখা-পড়ার পাশাপাশি শখের বর্ষে ২০১৬ সালে প্রথমে ১০ কাটা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেছিলাম। ১০ কাটা থেকে শুরু করে বর্তমানে নিজস্ব ৯ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করেছি। এটি একটি পুষ্টিগুন সুস্বাধু ফল। খরচ কম অর্ধিক লাভজন ফল এটি। বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ করে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ড্রাগন অর্ধিক লাভজনক একটি ফল। খরচ কম অর্ধিক লাভ। এই উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রাগন ফল চাষ। দিন দিন বাড়ছে বাগানেরও পরিসর। তরুন উদ্দ্যোক্তা রণজনিয়া গ্রামের যুবক নাজমুল হক নাইস তিনি ভালো একটি উদ্দ্যোগ গ্রহন করছেন। তার নিজস্ব জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন ফল চাষ করছেন।

এছাড়াও উপজেলা জুড়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় বাগান গড়ে উঠেছে ড্রাগন ফলের। আমরা বাগানগুলোর সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি। কৃষি অফিস থেকে তাদের সরকারি ভাবে সহযোগীতাসহ সাবিক সহযোগীতা করে আসছি। সব সময় এমন উদ্দ্যোক্তাদের সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

স/অ