রাণীনগরে আমন ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা

রাণীনগর প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বাজারে বোরো ধানের দাম ভালো পাওয়া এবার আমন ধান রোপনে ঝুঁকছেন কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ডুবে যাওয়া মাঠে জেগে উঠছে। সেই সব মাঠসহ উপজেলা জুড়ে আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলার রাণীনগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৫ শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যে মাত্রা নির্ধারন করেছে কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলায় বোরো মৌসুমে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় এবার আমন ধান চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকরা। খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলার রাণীনগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৫ শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যে মাত্রা নির্ধারন করেছে কৃষি বিভাগ। ইতি মধ্যেই প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমান ধান রোপন করা হয়েছে।

এছাড়া আউশ মৌসুমে উপজেলার সদর, গোনা, মিরাট, কাশিমপুর, বড়গাছা ইউনিয়নসহ বেশ কিছু এলাকায় প্রায় ১৪ শ’ ২৫ হেক্টর জমি ধান বন্যায় তলিয়ে যায়। তবে বন্যায় ১ শ’ ৪৪ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া এসব জমি বা মাঠ থেকে পানি নেমে যাওয়ায় সাথে সাথে কৃষকরা জমির আগাছা পরিষ্কার করে আমন ধান রোপন শুরু করেছেন। এবার উপজেলায় স্বর্ণা পাঁচ, বিধান ৩৪, হাইব্রিড, গোল্ডেন রাইট, বিধান ৮৭, ৭১ সহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করা হচ্ছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বাজারে ইরি-বোরো ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের ফলন যেমন ভালো হয়েছে তেমনি বাজারে দামও বেশ ভালো পেয়েছেন চাষিরা। ফলে সব মিলিয়ে আমন ধান চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা।

রাণীনগর উপজেলার গৌড়দিঘী গ্রামের কৃষক স্বপন সরকার, বেলঘরিয়া গ্রামের হাসান আলীসহ অনেকেই জানান, বন্যার পানিতে জমি তলিয়ে গিয়েছিল সে কারণে আমন ধান রোপন করা সম্ভব হয়েছিল না। তবে গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাওয়ায় জমির আগাছা পরিষ্কার করে তার মতো অনেক কৃষকরা জমিতে ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কৃষক নুর মুহাম্মদ, ইমরান হোসেনসহ অনেকই বলেন, বোরো মৌসুমে বেশ কিছু জমিতে আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালো হয়েছে। দামও সন্তোষজনক পেয়েছি। এবার বেশ কয়েক বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। কিছু জমি একটু নিচু হওয়ায় ফেলে রেখেছি। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে জমিতে ধান রোপন করা হবে। এ বছর আমন চাষে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। বৃষ্টির পানিতে জমি চাষাবাদ করা হয়েছে।

বন্যাদুর্গত বেতগাড়ি এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন জানান, বন্যায় তলিয়ে যাওয়া তাদের মাঠের জমি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। হয়েতো আগামী সপ্তাহ থেকে আমন ধান রোপন শুরু করা হবে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশণা অনুসারে কোন জমি যেন পতিত না থাকে সে জন্যে কৃষি বিভাগ মাঠে ঘুরে বিভিন্ন কাজ করছে। ধানের ভালো দাম পাওয়ায় আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৫ শ’ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমন ধান রোপন শেষ হবে বলেও আশা করছেন তিনি।

স/অ