রাজশাহীর ল্যাবে দুই শিফটে করোনা পরীক্ষায় প্রয়োজন আরও জনবল

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নমুনাজট কমাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষা ল্যাবে দুই শিফটে পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। তবে ল্যাবটিতে আরো অন্তত ৪জন টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া না গেলে দুই শিফটে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ধরণের ল্যাবগুলোতে কাজের ক্ষেত্রে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।
১ এপ্রিল রাজশাহীর প্রথম ল্যব চালুর পর সময় গড়ানোর সাথে সাথে ল্যাবটিতে নমুনাজট বৃদ্ধি পেতে থাকে। ল্যাবটিতে ৮জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কাজ করছেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তবে নমুনার চাপ কমাতে স্বাল্প জনবল দিয়েই ল্যাব কর্তৃপক্ষ গত ৩ মে থেকে দুই সিফটে নমুনা পরীক্ষা শুরু করে। দুই সিফটে কাজ শুরুর পর প্রতিবন্ধকতা সামনে আসতে শুরু করে ল্যব সংশ্লিষ্টদের। জনবলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তারা। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট চেয়ে আবেদন করা হয়।
সরকারের সিদ্ধান্ত মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর দেশের তৃতীয় করোনা পরীক্ষা ল্যাবটি জরুরী ভিত্তিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে স্থাপন করা হয়।
ল্যাবটিতে গত ১ এপ্রিল থেকে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলার করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিহ্নিত করেতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়।
সক্ষমতা অনুযায়ী ল্যাবটিতে একত্রে ৯৪জনের নমুনা পরীক্ষ সম্ভব। যা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে দীর্ঘ ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় প্রয়োজন। সেই সাথে প্রয়োজন প্রয়োজনীয় সংখ্যাক চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তবে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় ল্যাবে এই কাজের সংশ্লিষ্ট অন্য কোন কাজে নিয়োজিত রাখা হয় না। এমনকি সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ল্যাব থেকে দূরে থাকাটাও জরুরী।
রাজশাহী মেডিকেলে ল্যাবটি চালু পর এপ্রিল মাস জুড়ে রাজশাহীর আটটি জেলা থেকে ২ হাজার ৮০০ জনের নমুনা এসেছে। এসময়ের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫০০ জনের নমুনা ঢাকার ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছে। আর রাজশাহীর ল্যবটিতে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে ১হাজার ৯০০ জনের নমুনা। ঢাকায় নমুনা পাঠানোর কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, নমুনা জটেক কারণে রাজশাহীর ল্যাবে সবগুলো নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। তাই কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা ঢাকায় পাঠিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। যাতে নমুনাগুলো নষ্ট না হয়। এদিকে রাজশাহী ল্যাবে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জনের নতুন নমুনা আসছে পরীক্ষার জন্য।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. বুলবুল হাসান জানান, স্বাল্প জনবল দিয়েই আমরা ল্যবটি চালু রেখেছি। প্রতিদিনই নমুনার সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নমুনা জট কমাতে ল্যাবটি এখন দুই সিফটে চালু করা প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাক জনবল চেয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। তবে জনবল কম থাকলেও আমরা বসে নেই। ল্যাব সংশ্লিষ্টদের নিরলস পরিশ্রমে নিয়মিত পরীক্ষা চলছে।
স/আর