মঙ্গলবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীতে মিনু-নাদিমের দাদাগিরির হলো অবসান

Paris
ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬ ৮:২৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাত বছর পর রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দুটি সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করা ঞয়। এই দুই শাখার শীর্ষ চারটি পদের তিনটিতেই নতুনদের নেতৃত্ব দেওয়া হয়। এর ফলে দীর্ঘদিন পরে অবসান ঘটে সাবেক মেয়র ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মিজানুর রহমান মিনু আর সাবেক এমপি ও রাজশাহী বিএনপির অপর প্রভাবশালী নেতা নাদিমের দাদাগিরির।

 

  • রাজশাহী বিএনপিতে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে এই দুই নেতা ছিলেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি। কিন্তু একই সময়েই দুই নেতাই এখন রাজশাহী বিএনপির ক্ষেত্রে ব্যতয় হয়ে থাকবেন-এমনটিই মনে করছেন এখানকার নেতাকর্মীরা। দলের শীর্ষ স্থানীয় কোনো পদ দখল করতে না পারা এবং সর্বশেষ মহানগর ও জেলা বিএনপি থেকে পদ হারানোর ফলে দুজনেই একসঙ্গে এখানকার রাজনীতি থেকে কর্তৃত্ব হারালেন বলেও মনে করছেন অনেকেই।

 

তবে এসব নিয়ে এখনোই মুখ খুলতে চাননি রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের কেউ কেউ পরিস্থিতি এখনো পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও সিল্কসিটি নিউজের কাছে দাবি করেন।

 

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি হিসেবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের নাম ঘোষণা করা হয়। এর ফলে মহানগর বিএনপি থেকে ছিটকে পড়েন দীর্ঘদিন ওই পদটির দখলে থাকা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু।

 

  • অপরদিকে জেলায় সাবেক সাংসদ নাদিম মোস্তফাকে বাদ দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপুকে। তিনি ২০০৯ সাল থেকেই এই পদে আদিষ্ট ছিলেন।  এখানে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মতিউর রহমান মন্টুকে। এই কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল মনির। যার সঙ্গে নাদিম মোস্তফা গ্রুপের দা-কুড়াল সম্পর্ক বিরাজমান ছিল।

 

আবার তপু এবং মতিউর রহমান মন্টু দুজনেই ছিলেন কামরুল মনি গ্রুপের। ফলে নাদিম গ্রুপে একেবারে ভরাডুবি হলো নতুন এই কমিটিতে। তপু এবং মন্টু এর আগে কখনোই এ দুটি পদে দায়িত্ব পালন করেননি। ফলে তারা দুজনেই নতুন।

 

  • বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্দেশক্রমে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কমিটি অনুমোদন করেছেন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 
মহানগর বিএনপির সূত্র মতে, মিজানুর রহমান মিনুকে সভাপতি ও শফিকুল হক মিলনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০০৯ সালে রাজশাহী মহানগর কমিটি গঠিত হয়। ২০১৪ সালের আগস্টে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে নগর যুবদলের আহ্বায়কের পদ থেকে বাদ দিয়ে নগর কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলনে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। শফিকুল হক পান কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব।

 

  • জানতে চাইলে দায়িত্ব পাওয়া মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। রাজশাহীর বিএনপির রাজনীতিকে গতিশীল করতে আমাদের একসঙ্গেই কাজ করতে হবে। এখানে কোনো বিভেদ নাই। ভবিশ্যতেও থাকবে না।’

 
এদিকে ২০০৯ সালে নাদিম মোস্তফাকে সভাপতি ও কামরুল মনিরকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা বিএনপি গঠিত হয়। জেলার নতুন দায়িত্ব পাওয়া তোফাজ্জল হোসেন তপু জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি এবং মতিউর রহমান মন্টু সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

 

অপরদিকে তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, ‘তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই একটা বড় পরিবর্তন কামনা করছিলেন। সেটিই দল করেছেন। এখন দলের সবাইকে নিয়ে আমি রাজশাহী বিএনপিকে এগিয়ে নিতে চাই। আমি মন্ত্রী বা এমপি হতে চাই না। রাজশাহী বিএনপিকে শক্তিশালী করতে সকল নেতাকর্মীকে ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে কাজ করতে চাই।’

স/আর

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর