রাজশাহীতে ভারী বর্ষণ ও বৃষ্টির সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে কালবৈশাখী হানা না দিলেও ভারী বর্ষণ হয়েছে। শনিবার ভোর ৫টা ৪৬ মিনিটে ঝড়ো হাওয়াসহ বর্ষণ শুরু হয়। চলে সকাল ৭টা পর্যন্ত এমনটি বলা হচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া পূর্বাভাসে।
রাজশাহীর আকাশ এখনও মেঘলা রয়েছে। তাই সকালের পর আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় মাঝারি অথবা ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। রাজশাহী আবহওয়া অফিসও একই তথ্য জানিয়েছে।
 
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলে, শনিবার ভোর ৫টা ৪৬ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৭টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীতে ২২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ২২ কিলোমিটার। ভারী বৃষ্টিপাত হলেও কোথাও শিলাবৃষ্টি হয়নি বলেও জানান তিনি।
 
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আশরাফুল আলম জানান, সাধারণ বৃষ্টির সময় বাতাসের গতিবেগ ৩০ কিলোমিটার বা তার উপরে থাকলে কালবৈশখী বলা হয়। কিন্তু আজ বাতাসের গতিবেগ ছিল ২২ কিলোমিটার। তবে রাজশাহীর উপর দিয়ে আজ কালবৈশাখী বয়ে না গেলেও তীব্র ঝড়ো হাওয়া ছিল।
  
এর আগে গত ১০ মার্চ বিকেলে মাঝারি বর্ষণ হয়। ওই দিন রাজশাহীতে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল বলেও জানান এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।
এদিকে, ভোরে বৃষ্টি শুরুর আগে থেকেই রাজশাহী মহানগরীর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত মহানগরীর অধিকাংশ এলাকাই ছিল বিদ্যুৎহীন।
বৃষ্টির পর বিভিন্ন সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সড়কে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর উপর বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। তবে শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় আমের তেমন ক্ষতি হয়নি বরং তাপদাহের কারণে উপকারই হয়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালি বলেন, মাঠে বোরো ফসল রয়েছে। তাই বৃষ্টির খুব প্রয়োজন।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে গাছে আম রয়েছে। আজকের  বৃষ্টির আম গাছের জন্য সেচের কাজ করবে। শিলাবৃষ্টি হয়নি। তাই এই বৃষ্টিতে ধান ও আমের উপকার হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ঊর্ধ্বগত এই কৃষি কর্মকর্তা।
স/আ