রাজশাহীতে টিসিবির পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের কাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীতেও খোলা বাজারে নায্য মুল্যে পেয়াঁজ বিক্রি হয় গত রোববার থেকে। একজন কেজি প্রতি ৪৫ টাকা দরে পেয়াঁজ সংগ্রহ করছিলেন নগরবাসী। প্রায় প্রতিদিনই পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে অসংখ্য মানুষের ঢল নামে। আর অপেক্ষায় থাকতে হয় সাধারণ মানুষদের। আজ দীর্ঘদিনের অপেক্ষার শুরুটাই যেন পণ্ড হয়ে গেছে।

মহামান্য রাষ্ট্রপতির রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষে টিসিবি কর্তৃক পেয়াঁজ বিক্রি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি জানতেন না ক্রেতারা। যার কারণে শনিবার থেকেই পেয়াঁজের জন্য লম্বা লাইন দেখা যায়। তবে সেখানে ছিল না ক্রেতা।ছিল ক্রেতাদের ব্যবহার্য পানির বোতল, বাজারের বস্তা, ইট, মিস্টির প্যাকেটসহ আরোও কিছু। যে যেভাবে পারে নিজেদের অবস্থানের চিহ্ন দিয়ে রাখে।ঠিক যেন ছোট বেলার স্কুলের বেঞ্চের জায়গা দখলের মতো।

আগে আসলে আগে পাবেন এমন সূত্র হয়তো টিসিবি কর্তৃক প্রদত্ত হয়নি তবে তা দেখে পেয়াঁজের জন্য সাধারণ মানুষের যে ভোগান্তি তা ভাল ভাবেই উপলব্ধি করা যায়।

রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায়, বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৫০ টাকায়। পেয়াঁজের বাজারের এমন অবস্থা দেখে হিমসিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। কখনও বাজার মনিটরিয়ের জন্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলে তা সোজা নেমে আসে ১৮০ টাকায়। কিন্তু তাও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় নিন্ম আয়ের মানুষদের জন্য। বাধ্য হয়ে খোলা বাজারে বিদেশী পেয়াঁজ সংগ্রহ করতে ছুটে আসেন তারা।

শনিবার সকালে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় পেয়াঁজ কিনতে লাইনে নিজের বস্তাটি রাখেন আলী আমিন। ফুদকি পাড়া এলাকা থেকে পেয়াঁজ কিনতে আসেন তিনি। তবে টিসিবি’র ট্রাক আসেনি বলে লাইনে বস্তা রেখে পাশেই দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। কথা হলে আলী আমিন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, পেয়াঁজের দাম কমানোর মানুষগুলো প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ থাকেন। ভোগান্তি হয় সাধারন জনগনের । তারা জনগনের কস্ট বুঝতে পারলে এত দিন হতাশায় আমাদের রাখতে পারতো না।

ক্ষোভ জানান লাইনে দাড়ানো অনেকেই। কেউ এই লাইনের ছবি আবার মুঠো ফোনে ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও ছড়িয়ে দিচ্ছেন।