শেষ হলো অষ্টম বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

শেষ হলো বাংলাদেশ স্কুল অফ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্সের অষ্টম স্কুলিং। গত ২৫ জুলাই শুরু হয়ে এই আয়োজন শেষ হয় শনিবার।

সমাপনী দিবসের প্রথম অধিবেশনে নিরাপদ ইন্টারনেট শীর্ষক সেশনে সভাপতিত্ব করেন সংষদ সদস্য অপরাজিতা হক।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অপরাজিতা হক  সাইবার স্পেসে নারী ও শিশুদের নিরপাত্তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, সাইবার নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। ভৌগলিক সীমারেখা সুরক্ষিত রাখতে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশ পথে বিভিন্ন বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সাইবার দুনিয়া এমন এক দুনিয়া যার কোনো ভৌগলিক সীমারেখা নেই। সুতরাং নাগরিক এবং দেশের সুরক্ষা, গোপনীয়তা ও নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সকলকে সচেতন হতে হবে। এই বিষয়ে সরকার বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন, প্রয়োজনে আরও নতুন আইন প্রণয়ন করা হবে। ভুল তথ্য থেকে সুরক্ষা ও প্রতিরোধে সবার ভূমিকা রয়েছে। বিধি-বিধান প্রণয়নের দায়িত্ব সরকারের। তবে সেগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব সকল স্টেকহোল্ডারের।

একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে তিনি এ বিষয়গুলো নিয়ে আরো সামনে এগিয়ে যেতে প্রযোজনীয় সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল  মোহাম্মদ খলিল উর রহমান। আইন ও প্রযুক্তি শীর্ষক সেশনে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিনুল হক।

তিনি বলেন, প্রযুক্তি আইন মেধা সম্পত্তি, ডেটা গোপনীয়তা, সাইবার নিরাপত্তা, এবং ই-কমার্সসহ উন্নত প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত একাধিক আইনি বিষয় কভার করে। এটি প্রয়োজনীয় কারণ এটি ব্যক্তি এবং উদ্যোগের স্বার্থ এবং অধিকার রক্ষা করার সময় প্রযুক্তি ডিজাইন এবং ব্যবহারের জন্য একটি কাঠামো সরবরাহ করে।

টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট শিল্পে দক্ষ ও যুগোপযুগী জনবল, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স (বিডিসিগ) যাত্রা শুরু করে।

২৫ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যিালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে শুরু হয় এবারের স্কুলে অংশ নিয়েছেন ৮২ জন ফেলো। তিনদিন মেয়াদী এই ক্লাসে ইন্টারনেট প্রশাসনের আদ্যোপান্ত যেমন গভর্ন্যান্স, ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ও ডিজিটাল গভর্ন্যান্স ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ডিএনএস ও ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম এবং বিগ ডাটা বিষয়ে হাতে কলমে শিখেছেন নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া সমাপনী দিবসে নিরাপদ ইন্টারনেট, প্রযুক্তি ও আইন বিশেষ করে এআই পলিসি আইন, তথ্য বা উপাত্ত সংরক্ষণ আইন, টেলিকম আইন, ই-কমার্স আইন, স্মার্ট বাংলাদেশ ও ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার জন্য আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।