রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে যে ৫টি খাবার খাবেন

ব্যস্ত জীবনে সবকিছুর জন্য সময় হয়ে উঠলেও খাওয়ার সময় অনেকের হাতে নেই। সকালে কোন রকম কিছু একটা খেয়ে অফিসের জন্য বের হয়ে যায় আবার রাতে এসেও অস্বাস্থ্যকর খাবার। কখনো বা বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে এনে খাওয়া হয়। এতে করে শরীরে পুষ্টির পরিবর্তে দিন দিন জমতে থাকতে চর্বি। দেখা দেয় কোলেস্টরলের সমস্যা।  এ থেকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মত সমস্যা হতে পারে।

এজন্য সুস্থ থাকতে হলে প্রথম শর্ত হলো শরীরের ভিতর কোলস্টেরলকে বাসা বাঁধতে না দেওয়া। কোলেস্টেরল তিন প্রকার। ভালো কোলেস্টেরল, খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল।  শরীরকে অসুস্থ করতে সবচেয়ে বেশি দায়ি ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল। কোলেস্টেরল সরাসরি হার্টের আঘাত করে। হার্টের রক্তচলাচল বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়। এজন্য সুস্থ থাকতে হলে এখনই অবশ্যই কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করতে হবে।

গ্রিন টি

গ্রিন টির উপকারিতার কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে তরলটি আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী তা হল গ্রিন টি। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনোল। এই যৌগটি শরীরের নানা উপকারে লাগে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলগুলো কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যকর।

রসুন
বাঙালি রান্নায় রসুনের ব্যবহার যথেষ্ট পরিমাণে হযে থাকে। রসুনে থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, এবং অর্গানোসালফার যৌগ। এগুলোর সংমিশ্রণ শরীর থেকে খারাপ কোলেস্ট্রল দূর হয়। প্রতিদিন অর্ধেক বা একটি রসুন খেলে  খারাপ কোলেস্টেরল ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

আমলকি
আমলকিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফেনোলিক যৌগ, খনিজ পদার্থ এবং অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলকির ব্যবহার চলে আসছে। নিয়মিত আমলিক খেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করা যায়। দিনে একটি বা দুটি আমলকি রোগকে আপনার কাছ থেকে দূরে রাখবে।

ধনে
ক্ষতিকর কোলেস্টেরেলকে শরীর থেকে দূর করতে ধনে বীজেরও জুড়ি মেলা ভার। এতে আছে একাধিক ফোলিক অ্যাসিড, ভিামিন এ, বিটা -ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন।

মেথি
ধনের মতোই উপকারী মশলা হল মেথি। মেথি বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ। মেথি শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে আর এর ফাইবার লিভারের সংশ্লেষণ কমায়। প্রতিদিন এক চামচ মেথি খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ