যে কৌশলে উত্তরার বহুতল হোটেল ‘দখল’ করেন সাহেদ

ভদ্রবেশী ধূর্ত প্রতারক রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক প্রতারণার খবর পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এক প্রতারকের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সামাল দিতে গিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

এরই মধ্যে একটি হলো উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কে অবস্থিত আটতলা ভবন হোটেল মিলিনা।

কৌশলে চুক্তি করে পরে প্রভাব খাটিয়ে হোটেলটিকে ‘দখল’ করেছিলেন সাহেদ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সাহেদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন হোটেলটির মালিক আনোয়ার হোসেন।

তার অভিযোগ, রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানের পর মিলিনা থেকে অন্তত ৪২ লাখ টাকার জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলেছেন সাহেদ।

এ ঘটনায় প্রতারণা ও চুরির অভিযোগ এনে গত ১৩ জুলাই উত্তরা পূর্ব থানায় সাহেদসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন আনোয়ার।

মামলায় সাহেদ ছাড়াও হোটেলের ২১ জন কর্মচারী এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০/১২ জনকে আসামি করেছেন আনোয়ার।

মামলার এজাহারে আনোয়ার লিখেছেন, সাহেদের নির্দেশে হোটেল থেকে ২২টি বিছানা, ১০টি সেইফটি লকার, ২২টি ফ্রিজ, ২৯টি টিভি, ১৩টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ১৩টি কম্পিউটার, ৯টি গ্যাস সিলিন্ডার, ৭ সেট সোফাসহ চেয়ার, টেবিল, বালিশ, টাওয়েল, মাইক্রোওভেন, সিলিং ফ্যান ও টেবিল ফ্যান সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এসব জিনিসপত্রের মূল্য ৪২ লাখ টাকার মতো। এছাড়া জিমের যন্ত্রপাতি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, টিভিসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে।

ভুক্তোভোগী আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য তিনি যখন ‘পার্টনার’ খুঁজছিলেন, সে সময় ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে তার সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ দেখা করেন। ওই মাসের ২১ নভেম্বর হোটেল মিলিনার মালিকানা নিয়ে সাহেদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের চুক্তি হয়।