মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় যারা দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ করছে, তাদের নম্বর না কাটতে দাবি জানানো হয়েছে। নিয়মানুযায়ী, দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের ৫ থেকে সাড়ে ৭ নম্বর কাটা হয়ে থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিখিতভাবে এই দাবি জানান দ্বিতীয়বার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ০.২৫ নম্বরও কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সবারই জানা। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ প্রশ্ন সবার জন্য একই থাকে। করোনা মহামারির মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পরীক্ষার আগেই দ্বিতীয়বার পরীক্ষার্থীদের ৫ থেকে সাড়ে ৭ নম্বর কেটে নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। যা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ার মতো।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গতবারের এইচএসসি পরীক্ষার তুলনায় এই বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর পরিমাণ প্রায় ৩ গুণেরও বেশি। প্রতি বছর দেখা যায়, এসএসসিতে যারা জিপিএ-৫ পায় তাদের অধিকাংশই এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পায় না। কিন্তু এইচএসসি-২০২০ ব্যাচের ফলাফলে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা নিঃসন্দেহে প্রত্যাশার তুলনায় বেশি। এই ফলাফলের ওপর যদি তারা ২০০ নম্বর পায় তাহলে সেটি আমাদের ক্ষেত্রে অন্যায় হবে। এক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনার জন্য ‘ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
এই শিক্ষার্থীরা বলেন, ফলাফলে অতিরিক্ত জিপিএ-৫ এর কারণে বিপুল শিক্ষার্থী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দুই-তৃতীয়াংশ নম্বর পরীক্ষা না দিয়েই পেয়ে যাচ্ছে। যেখানে আমাদের প্রত্যেকটি নম্বর পরীক্ষা দিয়ে অর্জিত। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে অতিরিক্ত ৫ বা সাড়ে ৭ নম্বর কাটা হলে বিষয়টি আমাদের স্বপ্ন পূরণে অন্তরায়।
এ বিষয়ে চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি তিনি জানেন। তবে এ বিষয়ে ভর্তি কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে। অথবা বলা যায়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার ভর্তি কমিটির।
সুত্রঃ যুগান্তর