মিশ্র খামারে স্বাবলম্বী মালেক সৃষ্টি করেছেন কর্মসংস্থানও

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুরের মনিরুজ্জামান খান মালেক। ১৫ বছর আগে পাঁচ একর জমিতে গড়ে তোলেন মিশ্র খামার। একক উদ্যোগে গড়ে তোলা সেই খামারে এখন শতাধিক বেকার যুবক কাজ পেয়েছেন।

খামারে কর্মরত মকছেদ মিয়া, একেন আলী ও ইসহাক আলী শেখ জানান, তারা কাজের অভাবে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। মনিরুজ্জামানের মিরাকেল এগ্রো মাল্টি ফার্মে কাজ পেয়ে এখন বেশ সচ্ছল। আর বাড়ির কাছেই খামারটি হওয়ায় চাকরির ফাঁকে বাড়ির কাজও করতে পারেন।

খামারে কাজ করে সংসারের ব্যয় নির্বাহের পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়াও করাচ্ছেন সাগর শেখ, সুমন শেখ, বাদশা মণ্ডল, সুকুমার বিশ্বাস, নার্গিস বেগম।

খামারের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান খান মালেক জানান, এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে বহরপুরে ২০০৩ সালে নিজের পাঁচ একর জমিতে গড়ে তোলেন মিরাকেল এগ্রো মাল্টি ফার্ম। এ খামারে নয়টি পুকুর ছাড়াও অন্যান্য স্থানে রয়েছে আরো ৪২টি পুকুর। এসব পুকুরে শোল, মনোসেক্স তেলাপিয়া, দেশী কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করা হয়। এছাড়া গরু, ধান, ঘাস, হাঁস, মুরগি, ছাগলসহ বিভিন্ন ইউনিটে সমন্বিত চাষ করা হয়। বর্তমানে খামারে এক হাজার ক্যাম্বেল হাঁস, আটটি গরু, ৪২টি চীনা হাঁস, ১০টি টার্কি, পাঁচটি রাজহাঁস, আটটি তিতির পাখি, উন্নত জাতের কবুতর এবং আমবাগান রয়েছে। এখানে শতাধিক বেকার কাজ পেয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী মত্স্য কর্মকর্তা রবিউল হক জানান, মনিরুজ্জামানের খামারটি বেকার সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে। এখানে মাছ, হাঁস, মুরগি, গবাদিপশুসহ মিশ্র চাষ করা হয়। এ ধরনের খামার বেশি বেশি তৈরি হলে এলাকায় অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এদিকে ২১১টি লেয়ার মুরগির খামার, ৮৬২টি ব্রয়লার ফার্ম, নয়টি হাঁসের খামার, ১২৫টি কবুতরের খামার, ১৫টি কোয়েল পাখির খামার রয়েছে। রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীতে মিশ্র খামার করে অনেক বেকার এখন স্বাবলম্বী হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহজ শর্তে এবং কম সুদে ঋণ দেয়া হলে রাজবাড়ীতে তরুণ ও বেকাররা আরো নতুন নতুন খামার তৈরি করতে পারবে বলে আশা করেন তিনি।