নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর নিয়ামতপুরে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউপির চক গোপাল গ্রামে। থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় উপজেলার বাহাদুরপুর ইউপির চক গোপাল গ্রামের মৃত-হাশেন আলীর ছেলে মামুন অর রশিদ (৩২) তার স্ত্রী একই গ্রামের আনিকুল ইসলামের কন্যা ববিতা ওরফে টুলটুলি (২৫)কে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছে।
টুলটুলির বাবা আনিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘাতক মামুন-অর-রশিদ, মা অলেকজান ও বড়ভাই সেলিম ওরফে সেলুকে আসামী করে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, মামুন অর- রশিদ ও ববিতা ওরফে টুলটুলি উভয়ে আগে বিয়ে হয়েছিল। ববিতা ওরফে টুলটুলি স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ীতে অবস্থান করছিল। অপরদিকে মামুন-অর-রশিদের স্ত্রী থাকা অবস্থায় দুজনে প্রেম করে ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে ১ বছর পূর্বে ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। সেখানে ৬ মাস অবস্থান করার পর গ্রামের বাড়ীতে ফিরে আসে। গত ৬ মাস যাবত মামুন-অর-রশিদ ও ববিতা সংসার করে আসছিল। সংসারকালীন বিভিন্ন সময়ে মামুন অর রশিদ যৌতুকের দাবী করে আসছিল। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টায় যৌতুকের দাবী নিয়ে ববিতার উপর নির্যাতন শুরু করলে এক পর্যায়ে সে মারা যায়। বিষয়টি বাড়ীর সবাই গোপন রাখে। গ্রামের মানুষ তাদের বাড়ীর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হলে বাড়ী গিয়ে ববিতার মৃত দেহ দেখতে পায়। সাথে সাথে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ তোরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তারা উভয়ে আগের বিবাহিত সম্পর্ক ছিন্ন করে এক বছর পূর্বে প্রেম করে বিয়ে করে। কিন্তু স্বামী মামুন সব সময় টাকার জন্য চাপ দিতো। এক পর্যায়ে শ্বশুড়ের এক জোড়া গরু নিয়ে এসেছিল কিন্তু গ্রামবাসীর চাপে তা ফেরত দেয়। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার মামুন স্ত্রী ববিতাকে কিল, ঘুষি মারলে ববিতা অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন মামুনসহ বাড়ীর সবাই পালিয়ে যায়। ববিতা অজ্ঞান অবস্থায় মারা যায়। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক মামুন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
স/শা