মিউনিখের শপিং মলে গুলি: অন্তত নয়জন নিহত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিউনিখে একটি শপিং সেন্টারে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এরপর হামলাকারীদের খোঁজে মিউনিখ জুড়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

 

উপরে ভিডিওতে দেখুন সেখানকার পরিস্থিতির চিত্র।

 

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় নয়জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে এদের মধ্যে একজন সন্ত্রাসীর মৃতদেহ রয়েছে কিনা, সেটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

160722184845_munich_olympia_shopping_centre_reuters_640x360_reuters_nocredit

 

এ ঘটনায় অন্তত দশজন আহত হয়েছে।

 

ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীদের সংখ্যা ছিল তিনজন এবং তারা পালিয়ে গেছে। তাদের খোঁজে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

 

পাবলিক প্লেস এড়িয়ে চলার জন্য নগরীর বাসিন্দাদের পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। শহরের সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

 

যে মৃতদেহটি সন্দেহভাজন হামলাকারীর বলে পুলিশ সন্দেহ করেছে, সেটি পাওয়া গেছে অলিম্পয়া শপিং সেন্টারের প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি স্থানে। সেখানে কোন বোমা আছে কিনা, রোবট ব্যবহার করে পুলিশ তা পরীক্ষা করে দেখছে।

160722192319_shooting_in_munich_germany_624x351_ap

 

160722170928_munich_shopping_centre_640x360__nocredit

জার্মানীর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার সময় অলিম্পিয়া সেন্টার থেকে গোলাগুলির শব্দ প্রথম শুনতে পাওয়া যায়।

 

মিউনিখের বাসিন্দা কায়কোবাদ হাসান বিবিসিকে জানান, এ ঘটনার পরই শহরের সব যানচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে অনেকেই তাদের অফিসে আটকে পড়েন।

 

যারা বাড়িতে যেতে পারছেন না, তাদের জরুরী আশ্রয় দিচ্ছেন স্থানীয়রা। টুইটারে ‘খোলা দরজা’ নামে একটি হ্যাশট্যাগও চালু হয়েছে।

 

এ ঘটনার পর জরুরী বৈঠকে বসছেন জার্মানীর কর্তৃপক্ষ।

160722172756_munich_germany_shooting_640x360_epa_nocredit

চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেরা মেরকেলের চীফ অফ স্টাফ পিটার আল্টমেইয়ার বলেছেন, ”কারা এবং কেন এই হামলা, তা এখনো অপরিষ্কার।”

 

তিনি বলছেন, ”এটা সন্ত্রাসী হামলা নয় বলে আমরা উড়িয়েও দিতে পারি না, আবার সেটি নিশ্চিত করে এখনি বলতেও পারছি না। তবে এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়েই আমরা তদন্ত করছি।”

 

শহরের মুজাখ এলাকায় অলিম্পিয়া শপিং মলের চারপাশের এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার বাভারিয়ায় একটি ট্রেনে একজন অভিবাসী পাঁচজনকে কুড়াল আর ছুরি নিয়ে আক্রমণ করার পর নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

 

ওই ঘটনার পর আরো হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছিল।

সূত্র: বিবিসি বাংলা