মহানায়িকা ও পাবনার কন্যা সুচিত্রা সেনের নবম প্রয়াণ দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা ও পাবনার কন্যা সুচিত্রা সেনের নবম প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে পাবনার সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে জেলা শহরের হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টায় মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সংগ্রহশালা প্রাঙ্গণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার শ্রী মনোজ কুমার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সহকারী হাই কমিশনার শ্রী মনোজ কুমার বলেছেন, বাংলাদেশের প্রাচীন জেলা পাবনার মেয়ে সুচিত্রা সেন ভারতীয় ও বাংলাদেশীদের কাছে গৌরব, গর্ব আর অহংকারের। শুধু এপার-ওপার বাংলায় নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তার খ্যাতি ছিল আকাশতুল্য।

তিনি আরো বলেন সব ধর্মের মানুষের সমন্বিত দেশ হলো বাংলাদেশ। পাবনার জমিনে মহানায়িকার জন্মে আমরা ভারতীয়রা গর্বিত। এই মাটিতে জন্ম নিয়েছেন শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রসহ অনেক নামিদামি নারী পুরুষ। এই দেশের মেয়ে আমার দেশের মুখ আলোকিত করেছেন, দেশকে খ্যাতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। এমন মহীয়সী নারী যিনি খ্যাতি ছেড়ে, ফ্লিম ছেড়ে স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেন। এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে তিনি কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম লাল, পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

আয়োজিত স্মরণ সভার সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি ডা. রাম দুলাল ভৌমিক। আবৃত্তি শিল্পী আসাদ বাবুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডক্টর নরেশ মধু।

পরে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা ও পৈতৃক বসতভিটা ঘুরে ঘুরে দেখেন। এরপর তিনি পাবনা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে উপস্থিত হয়ে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। পাবনা সফরকালে তিনি পাবনার মহাদেব মন্দিরের ছাত্রাবাস উদ্বোধন করেন।শেষে শহরের হেমায়েতপুর শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম পরিদর্শন করেন।

স/আর