ভারতের পাড়ায় পাড়ায় মহিলা ব্রিগেড নামিয়ে মাদকের নেশা রুখবে পুলিশ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মাদকের নেশা রুখতে পুলিশের থেকে বেশি কার্যকরী হবেন মহিলারা৷ এবার থেকে তাদের হাতেই দেওয়া হবে ক্ষমতা৷ পাড়ায় পাড়ায় মহিলা ব্রিগেড তৈরি করেই এবার মাদক বিরোধে পাড়ার মহিলাদের সাহায্য নিয়ে পথে নামছে পুলিশ৷

শহরে মাদকের নেশা রুখতে এবার পাড়ার মহিলাদের কাছেই আবেদন রাখছে পুলিশ৷ তাদের হাতেই দিয়ে আসা হচ্ছে পুলিশের ফোন নম্বর৷ একইসঙ্গে পাড়ায় পাড়ায় গঠন করা হচ্ছে কুড়ি জনের মাদক বিরোধী বাহিনী৷ যাদের একটাই কাজ হবে, খবর রাখতে হবে পাড়ার নেশার স্থল কোথায় গড়ে উঠেছে৷ তাঁরা দেখবেন পাড়ায় কোথায় নেশার দ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছে৷ খবর রাখবেন সেই সব বিষয়ে৷ গত কয়েকদিনে সেই বাহিনী তৈরি করতেই সাফল্য মিলল সিউড়িতে৷

মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দশ জন মাদকাসক্তকে মাদক সহ গ্রেফতার করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ৷ পুলিশের দাবি সিউড়িতে চুরি বেড়ে যাওয়ার পিছনে এই মাদকাসক্তদের হাত আছে৷ সদর মহকুমা শাসক কৌশিক সিনহা বলেন “মূলত মাদকের নেশা রুখতে পাড়ায় পাড়ায় এই কমিটি তৈরি হচ্ছে৷ সিউরি থানার পুলিশ, আবগারি দফতর , নারকোটিক শাখা ও জেলা প্রশাসন মিলে নাগরিক সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে৷”

মঙ্গলবার রাত্রে সিউড়ি সদর হাসপাতালের পিছনে অভিযান চালিয়ে ব্রাউন সুগার সহ চারজন মাদকাসক্তকে ধরে পুলিশ৷ তাদের সূত্র ধরেই বুধবার সকালে হাসপাতালের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সিউড়ি থানার দাবি এরা সকলেই যেমন নেশায় আসক্ত, তেমনই মাদকের যোগানের জন্য মাদক পাচার করে৷ উল্লেখ্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফকির পাড়া, কাঁকরখাদ ও কাঁটাবুনিতে তিনটি সভা করে এলাকায় কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ সদর মহকুমা শাসক ছাড়াও সিউরি থানার আইসি দেবাশিস পন্ডা, উপ পুরপ্রধান বিদ্যাসাগর সাও, তিনটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা হাজির ছিলেন৷

তিনটি সভাতেই পাড়ার মেয়েদের অংশ গ্রহন ছিল সব থেকে বেশি৷ বিদ্যাসাগর সাও বলেন,”শুধু প্রশাসন নয়, সামাজিকভাবে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে৷ ড্রাগের নেশা যে সর্বনাশা, সেটা বন্ধ করার জন্য পাড়ার মেয়েদের দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ৷ আশাকরি এতে নিয়ন্ত্রনে আসবে মাদক ব্যবহার ও তার বিক্রিতে৷” উল্লেখ্য গত সপ্তাহে সিউড়ি ইন্দিরাপল্লী থেকে ছ’জন মাদক কারবারীকে মিলন বাগদির বাড়ি থেকে হাতে নাতে ধরে পুলিশ৷ তারপরেই তৎপর হয় সিউড়ি পুলিশ৷ অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সুবিমল পাল জানান, “শহরে চুরি ধরতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তেমনই মাদকের নেশা কাটাতে সিউড়ি থানার পুলিশ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে৷” তবে সিউড়ি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, নেশায় আক্রান্তদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে শহরে মাদক পাচারকারীদের মূল মাথাদের সন্ধান চালান হচ্ছে৷ তাদের মতে মাদকের নেশা না কমাতে পারলে শহর জুড়ে চুরি নিয়ন্ত্রন করা যাবে না৷