বিএনপি নেতৃত্বের পদত্যাগ চাওয়া কাদের সাহেবের কোনো রাইটস্ নেই

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আবারো প্রমাণ করল আওয়ামী সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হবে না। বিশেষ করে এই নির্বাচন কমিশন যারা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা পালন করছে এবং তারা একটি অঙ্গসংগঠন হিসেবেই কাজ করছে, তাদের পক্ষে কখনোই অবাধ সুস্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

মির্জা ফখরুল মঙ্গলবার বিকালে তার ঠাকুরগাঁওয়ে তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাসী। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতে হলে অবশ্যই নির্বাচনকে বিশ্বাস করতে হবে। আর এজন্যই বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের ডিসম্বরের নির্বাচনের মতোই এখনো প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যাবহার করে ফলাফল তাদের পক্ষে নিয়ে গেছে। এমন কোনো নির্বাচন নেই যে, যেখানে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগই ভোট দেয়, আর কেউ ভোট দেয় না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে শুধুমাত্র ক্ষমতায় চিরদিন টিকে থাকবার জন্য নতুন আঙ্গিকে ছদ্মবেশী বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশে গণতন্ত্রের ন্যূনতম যেটুকু বাকি ছিল সেটাও তারা শেষ করে দিয়েছে। এই দেশটা সম্পূর্ণভাবে একটিদল যারা সন্ত্রাস করছে তাদের হাতে চলে গেছে। সেদলটি রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যাবহার করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে এবং দুর্নীতির চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যাবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এর জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার। বিগত নির্বাচনগুলো বাতিল করে বিএনপি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। বাংলাদেশের মানুষ কখনোই কতৃত্ববাদী সরকারের কাছে মাথা নত করেনি। এজন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি জনগণকে সম্পৃক্ত করে ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সাথে নিয়ে কাজ করছে ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের পদত্যাগ চাইতে পারেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতৃত্বের পদত্যাগ চাওয়া তার (ওবায়দুল কাদের) কোনো রাইটস্ নেই। মাটির নিচে ওবায়দুল কাদেরের পাঁনেই, জনগণের সাথে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন এবং জোড় করে ক্ষমতায় থেকে এসব কথা বলছেন। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলেই তারা বুঝতে পারবেন বিএনপির সাথে জনগণ আছে কি না।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ