বাঘা থেকে আমের প্রথম চালান ইংল্যান্ড ও হংকংয়ে

বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে বিদেশে আমের রপ্তানি শুরু করা হয়েছে। বুধবার (১ জুন) এক হাজার কেজি ইংল্যান্ডে ও ৫০০ কেজি হংকংয়ে ক্ষিরসাপাত আমের প্রথম চালান পাঠানো হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বিদেশে নিরাপদ আম রপ্তানির লক্ষ্যে উপজেলার নির্বাচিত কন্টাক্ট গ্রোয়ারদের নিকট থেকে চুক্তিবদ্ধ রপ্তানিকারক লি.এন্টারপ্রাইজ ও মাহাতাব এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে এই আম পাঠানো শুরু হয়। কয়েক বছর থেকে এই আমের চালান বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আম চাষিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি ও উচ্ছ্বাস।

উপজেলা কন্টাক্ট গ্রোয়ারদের সভাপতি সফিকুল ইসলাম ছানা জানান, এর চেয়ে আনন্দের আর কি আছে। করোনার কারণে গত মৌসুমে আম পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ বছর চাষিরা বিদেশ আম পাঠাতে পেরে আরও উৎসাহিত হচ্ছেন। ফলে দেশের অর্থনীতিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

তিনি জানান, তাদের সাথে ২০ জন সফল আম চাষী রয়েছে। কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আম রফতানির জন্য উপজেলার ২০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত আম ঢাকায় বিএসটিআই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরপরে বিদেশে রপ্তানি করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, আম চাষ কঠিন হলেও আমে যাতে কোনো ধরনের পোকার আক্রমণ না ঘটে এজন্য এলাকার আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা ‘ফ্রুটব্যাগিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে আমচাষ শুরু করেছেন। এতে খরচ বাড়লেও একদিকে আমের গুণগত মান বাড়ছে। অন্যদিকে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা বেশি দাম দিয়েও আম কিনছেন।

রাজশাহীর বাঘার আমের খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। জেলার অন্য উপজেলার তুলনায় বাঘায় সবচেয়ে গুনগত মানের বেশি আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এখানকার আম এখন আরও উন্নত পদ্ধতিতে উৎপাদন হচ্ছে বলেই দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়েছে। এবারেও দেশের চাহিদা মিটিয়ে অধিক পরিমাণ আম বিদেশে রপ্তানি শুরু করা হবে।

জি/আর