বাঘায় পদ্মার চরাঞ্চলে গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আমানুল হক আমান, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে চলতি রবি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের গম ব্যাপক হারে উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদিত গম আগামী এক মাসের মধ্যে কাটা শুরু হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিগত বছরের চেয়ে এ মৌসুমে গমে বাম্পার ফলন বেশি আশা করছে চাষিরা।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের গম উৎপাদন হয়েছে। এরমধ্যে হেক্টর প্রতি উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৩ মেট্রিক টন। উৎপাদিত গমের মধ্যে সোনালী, প্রদীপ, বিজয়, শতাব্দী, সৌরভ, গৌরব উল্লেখযোগ্য। তবে এ বছর প্রদীপ ও বিজয় জাতের গম সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে।
প্রদীব গমের শিশ বড় এবং দানা মোটা হওয়ায় কৃষকরা এ গম চাষে বেশি উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বিজয়, শতাব্দী, সোনালী জাতের গম বিগত সময়ে ব্যাপক হারে আবাদ হলেও বর্তমানে এর উৎপাদন কিছুটা কমে এসেছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার চরে ব্যাপক হারে কৃষকরা এ মৌসুমে গমের আবাদ করেছে।

পদ্মার চরাঞ্চলের কৃষক সেকেন্দার আলী বলেন, আমি ৫ বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছি। আসা করছি আবহাওয়া ভাল থাকায় বিগত মৌসুমের তুলনায় এবার ভাল ফলন পাবো।

কৃষক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষকরা কষ্ট করে ফসল ফলানোর পর যদি কাংখিত মুল্য না পায় তাহলে পরের বছর সেই ফসল উৎপাদনের উপর চাহিদা কমে যায়। গমের বর্তমান বাজার রয়েছে ১১০০-১২০০ টাকা প্রতি মন। নতুন গম উঠার পর বাজার নিয়ন্ত্রন রাখার জন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, চলতি মৌসুমে অন্য ফসলের তুলনায় গমের উৎপাদন ভাল হবে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও অনেক বেশি উৎপাদন আশা করেন তিনি।

স/অ