বাঘায় দ্বিতীয় দিনে দীঘিতে পাওয়া গেছে ১৬ কেজির কাতলা মাছ

বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার বিকালে ঐতিহাসিক দীঘিতে (পুকুর) পাওয়া গেছে ১৬ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ। ৬০০ টাকা কেজি হিসেবে ৯ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন মিলে মাছটি ক্রয় করেছেন

এদিকে বৃহস্পতিবার ১৩ কেজি ওজনের একটি সিলভার কাপ মাছ ৫০০ টাকা কেজি হিসেবে ৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হিয়েছিল। জাল দিয়ে ধরে দীঘির পাড়ে রুই, কাতলা, সিলভার কাপ, বোয়াল, চিতল মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।

জানা যায়, বাঘা ওয়াকফ এষ্টেটের কাছে থেকে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ওয়াহেদ সাদিক কবীর ৫২ বিঘার উপর দীঘি ৫৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে লিজ নেই। এই দীঘির মাছ জাল দিয়ে ধরে বিক্রি করেন। ১০ কেজি ওজনের নিচে সিলভার কাপ মাছ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪০০ টাকা। ১০ কেজি ওজনের উপরে প্রতিকেজি সিলভার কাপ মাছ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়। এছাড়া ১০ কেজি ওজনের নিচে রুই, কাতলা, বোয়াল, চিতল মাছ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৫০০ টাকা। ১০ কেজি ওজনের উপরে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায়।

এ বিষয়ে বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই দীঘিতে বিরল প্রজাতির মাছ রয়েছে যা নদীর মাছের মতোই স্বাদ। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর এই দীঘির মাছ ধরা হয়েছে। যার কারনে এখানে বড় বড় মাছ রয়েছে। তবে মাছ ধরা দেখতে দুরদুরান্ত থেকে দেখতে আসছেন। দীঘির মাছ সুস্বাদু বলে স্থানীয়সহ অনেকেই ক্রয় করতে দেখা গেছে। এ মাছ স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে স্থাানীয় আশরাফুল হক বলেন, খুব ইচ্ছা ছিল দীঘির একটি বড় মাছ ক্রয় করব। কয়েকজন মিলে ৯ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে একটি কাতল মাছ ক্রয় করেছি।

দীঘির ইজারাদার স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ওয়াহেদ সাদিক কবীর বলেন, ওয়াকফ এষ্টেটের শর্ত অনুযায়ী কিছু দিন আগে দীঘি ইজারা নিয়েলিাম। নিয়ম অনুয়ায়ী মাছ ধরে বিক্রি করছি। তবে দুইদিনে ২ কেজি থেকে ১৬ কেজি ওজনের মাছ পাওয়া গেছে। বড় মাছগুলো বিশেষ করে স্থানীয়রা ক্রয় করছেন।

বাঘা ওয়াকফ এষ্টেটের মোতয়ালি খন্দকার মুনসুরুল ইসলাম রইশ বলেন, নিয়ম অনুয়ায়ী দীঘি লিজ দেওয়া হয়েছে। লিজকৃত ব্যক্তি জাল দিয়ে ধরে মাছ বিক্রি করছে। যেহেতু তিনি লিজ নিয়েছেন, মাছ তো বিক্রি করবেনই। কয়েক বছর থেকে মাছ না ধরায় বড় বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে।

জি/আর