বাঘায় তুলার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ চাষিরা

আমানুল হক আমান:
রাজশাহীর বাঘায় তুলা চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে। এবার উৎপাদন খরচ বাড়লেও সরকার গত বছরের চেয়ে তুলার মূল্য কম নির্ধারণ করায় চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।

জানা যায়, চাষিদের মজুরি, সার ও তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিঘা প্রতি জমিতে তুলা উৎপাদন করতে চাষিদের ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলে চাষিদের উৎপাদন খরচ উঠা দূরহ হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে চাষিরা জমি থেকে তুলা তলতে শুরু করেছে।

রামচন্দ্রপুর গ্রামের তুলা চাষী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন লোটাস জানান, তিনি এ বছর এক একর জমিতে তুলা চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ২১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু তিনি উৎপাদিত তুলা বিক্রি করে মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পেয়েছেন। অথচ গত বছরের তুলনায় এ বছর মজুরি, সার ও তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিঘা প্রতি সাত থেকে আট হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তুলা উন্নায়ন বোর্ড গত বছর প্রতিমণ তুলার মূল্য দুই হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। সেখানে এ বছর মণপ্রতি ১০০ টাকা কমিয়ে দুই হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এতে তুলা চাষিরা আশানুরূপ উৎপাদন করেও খরচের টাকা তুলতে পারছেন না। ফলে চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। একই কথা জানান, তুলা চাষী আবদুস সাত্তার, আবদুল কাদের, লোকমান আলী।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আড়ানী ইউনিট অফিসার মুহাম্মদ হোসেন আলী জানান, তুলার মূল্য সরকার নির্ধারণ করে। এখানে আমাদের কিছু করার থাকে না। আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার মুল্য কমে যাওয়া স্থানীয়ভাবে দাম কমে গেছে।

তবে কৃষকের উৎপাদন খরচ মাথায় রেখেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এ ইউনিট অফিসের অধীনে প্রায় ২০০ জমিতে ২৫০ জন চাষী তুলা চাষ করেন। লক্ষমাত্রা ছিল ৩৫০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে নিমপাড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর-কালুহাটি, আড়ানী পৌর এলাকার গোচর গ্রামে বেশি চাষ হয়েছে। তুলার গুটি জুলাই মাসে রোপণ করে চাষীরা। তবে তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় তুলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুলা বর্তমানে এ উপজেলায় অন্যতম অর্থকারি ফসল। অন্য ফসলের তুলনায় তুলা চাষে খরচ কম হয় বলেও জানান তিনি।

স/অ