বাঘায় উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কুপিয়ে জখমের ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় এক স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় রবিউল ইসলাম নামের আরও এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার আলাইপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত রবিউল ইসলাম আলাইপুর গ্রামের বয়েজ খাঁ’র ছেলে। এর আগে ঘটনার দিন সোমবার রাতে কিশোরপুর গ্রামের বাশের আলীর ছেলে বখাটে লালন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে এ ঘটনায় এ পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে আহত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলীর অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তাকে বুধবার পর্যন্তও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। চিকিৎসক হাবিবুল্লাহ জানিয়েছেন, সুজনের অবস্থা আশংকাজনক।

এ ঘটনায় বুধবার বিকাল ৪ টায় উপজেলা ছাত্রলীগ হামলাকারী বখাটেদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে। বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভ শেষে পৌর মোড়ে এক পথ সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহানুর রহমান সোহাগ, সাধারন সম্পাদক নাজমূল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পিয়া খাতুন, জেলা ছাত্রলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক মারুফ মন্ডল, সদস্য ফারুক হোসেন প্রমুখ।


প্রসঙ্গত, উপজেলার আলাইপুর গ্রামে আবদুর রাজ্জাকের ছেলে বখাটে সবুজ হোসেন একই এলাকার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করত। গত সোমবার ইফতারের পুর্বে এর প্রতিবাদ করেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোরপুর গ্রামের আজিম আলীর ছেলে সুজন আলী, সাজদার হোসেন মাঝির স্ত্রী সাজেদা বেগম, ছেলে আজমুল হোসেন, হামিদুল ইসলাম, আজমুল হোসেনের স্ত্রী সুজেলা বেগম। তাৎক্ষনিক বখাটে সবুজ আলী, লালন আলীসহ ১২ থেকে ১৫ জনের একটি দল ধারালো হাসুয়া, চাকু ও লাঠি নিয়ে তাদের উপর আক্রমন করে। তাদের এই আক্রমনে সবাই আহত হয়।

আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে করা হয়। পরে তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতদের মধ্যে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলীর পেটে চাকুর আঘাতে ভূড়ি বের হয়ে গেছে। এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর চাচা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন।

বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হীরেন্দ্রনাথ প্রামানিক জানান, এই বিষয়ে মারামারির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স/শ