বাগমারায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত বীজতলা: দিশেহারা কৃষক

বাগমারা প্রতিনিধি:

বাগমারায় চলতি বোরো মৌসুমের জন্য কৃষকের বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় কৃষক বোরো চাষ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। শীতের প্রকোপ সেই সাথে ঘন কুয়াসার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।

উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, যে সকল কৃষক বোরো চাষের জন্য আগেই বীজতলা প্রস্তুত করেছেন এবং যাদের বীজতলার বীজ বেশ বড় হয়েছে তাদের এই সমস্যা তেমনটা হয়নি। তবে যে সকল কৃষক আলুর জমিতে বোরো চাষের জন্য অনেক পরে বীজতলা প্রস্তুত করেছেন তারাই পড়েছেন কোল্ড ইনজুরির সমস্যায়। তাদের বীজতলা লাল আকার ধারন করেছে এবং ধান বীজের পাতাগুলো শুকিয়ে মরে যাচ্ছে।

কৃষকরা জানান, এসব বীজ জমিতে রোপন করলে ফলন অর্ধেকেরও নীচে নেমে আসতে পারে। ঘন কুয়াসার কারণে কৃষকরা নতুন করে বীজতলা করতেই ভয় পাচ্ছেন। কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য অনেক কৃষক ইন্ডোফিল জাতীয় বিভিন্ন কীটনাষক স্পে করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না বলে জানান।

উত্তর একডালা গ্রামের কৃষক মুনছুর রহমান, এবাদুর রহমান সহ কয়েকজন কৃষক জানান, প্রথম দিকে তাদের বীজতলা ভালোই ছিল। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ঘন কুয়াসার কারণে তাদের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোন ওষধ স্প্রে করেও কোন কাজ হচ্ছে না।

এদিকে একরের পর একর জমির বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ায় চলতি বোরো চাষের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে। এই উপজেলায় এবার ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হলেও নির্ধারিত সময়ে বীজ সংকটের কারণে সেই লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান জানান, কোল্ড ইনজুরি একটি মারাত্বক সমস্যা। এ থেকে রেহাই পাওযার জন্য কৃষকের বীজতলাটি পাতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কোন অবস্থায় বীজতলায় যেন কুয়াসা প্রবেশ করতে না পারে সেই ভাবে পলিথিন দিয়ে বীজতলাটি ঢেকে দিতে হবে।

স/অ