বাগমারায় আমন-আউশের দামে আর্থিক ক্ষতির মুখে কৃষক

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় উৎপাদিত আমন-আউশ ধানের বাজার দর কম হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। আমন-আউশ ধান উৎপাদন করে অনেকের উৎপাদন খরচ না হওয়ায় ধান চাষে আগ্রহ কমেছে বলেও কৃষকরা জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আউস মৌসূমে ১৮ হাজার ৫৫৪ হেক্টর জমিতে ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। অপরদিকে আমনের ৭৭০ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৭৮০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষাবাদ করা হয়।

কৃষকরা জানান, আউস-আমন ধানের চাষাবাদ করে করে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। আউস-আমন ধানের মধ্যে হীরাসহ বিভিন্ন হাইব্রিড ধানের চাষ করা হয়। ধান-কাটা ও মাড়াই কাজ শেষ হলেও বর্তমানে বাজারদর কম থাকায় লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না কৃষকরা। সরকারী ভাবে যে পরিমাণ ধান দিতে পারছেন তার পরিমাণ তুলনামূলক কম। অধিকাংশ কৃষকরা সরকারিভাবে ধান বিক্রির সুযোগ বঞ্চিত হবার কারনে আসন্ন বোরো মৌসুমেও ধান চাষ নিয়ে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ কমে গেছে বলে জানা যায়।

দেউলা গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন জানান, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে সার, ওষুধ, সেচ, বীজ, শ্রমিক মজুরি ও মাড়াই খরচসহ প্রায় বিশ থেকে পচিশ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় ষোল থেকে আঠারো মন ধান উৎপাদন হয়। এদিকে আউস-আমন ধান বাজারে মোটা ধরনের ধান সাড়ে ছয়শ টাকা ও চিকন জাতের আটশ টাকা মন বিক্রি চলছে। এতে করে বিঘা প্রতি প্রায় দশ থেকে পনের হাজার টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে।

বালানগর গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, ধান বিক্রি করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। উৎপাদন খরচও উঠছে না বলে তিনি জানান।

অপরদিকে গোপালপুর গ্রামের কৃষক মীর বক্স জানান, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আউস-আমনের চাষ করে বাজার দর কম থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ধানের উৎপাদন খরচ না উঠায় আসন্ন ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন বলেও জানান ওই দুই কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, ধানের উৎপাদন ভাল হলেও বাজার ব্যবস্থার কারনে কৃষকরা হয়তো কম লাভবান হচ্ছেন। বাজার ভাল হলে চাষীরা লাভবান হবেন।

 

স/শা