বাগমারায় অতিবৃষ্টিতে সবজি চাষীদের মাথায় হাত

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় গত ৬ দিন ধরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আবার কখনও বেশী বৃষ্টি বর্ষণ চলছে। সারা দিন লেগে থাকা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সোমবার সারা দিন অবিরাম বৃষ্টিতে লোক জন ঘরের বাইরে যেতে পারেনি। গত কয়েক দিনে সুর্যেরও দেখা মিলেনি সেভাবে। এতে করে কৃষকের নিচু ফসলি জমির ফসল নষ্ট হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কপাল পুড়েছে মরিজ, ঝিঙ্গা, পটল, ঢেড়শ ও পানচাষীদের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এসময় খরাপীড়িত বরেন্দ্র অঞ্চল খাঁ খাঁ রোদে পরিণত হয়ে থাকে। বেশী সময় কৃষকরা সেচ দিয়ে ফসল করে। এবারে হঠাৎ করে গত বুধবার হতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়। এ বৃষ্টি টানা কয়েক দিন হবার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উঠতি ফসল বর্ষণে পানবরজ, ঝিঙ্গা, মরিজ, বেগুন, পালং শাক, মুলা, পটলসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে পানি বেধে যায়। এত করে সবজির গাছ লাল মেরে মরতে শুরু করেছে। এছাড়া পান গাছের পাতা লাল হয়ে মাটিতে পড়ছে। একইভাবে নিম্ন অঞ্চলের রোপা-আমন ধান ডুবতে বসেছে।

বালানগর, সগুনা, গোপালপুর, মাধাইমুড়িসহ এলাকার কৃষকরা জানান, গত ৬ দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন ফসলের সাথে সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকালের টানা বর্ষণে মরিজ, পান, বেগুন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে টাকার ফসল পান লাল হয়ে পচতে শুরু করেছে। বালানগর গ্রামের কৃষক মুকবুল হোসেন জানান, গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির কারণে পানগাছ লাল ধরে পান পড়ছে। এতে করে তার পানবরজ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। একইভাবে গ্রামের সবজিচাষি নজরুল ইসলাম জানান, অতি বৃষ্টিতে মরিজ ও তার বেগুন ক্ষেতের দুরাবস্থা হয়ে পড়েছে। গাছের গোড়ায় পানি বেধে যাওয়ায় গাছ মরছে। তিনি আরোও বলেন, এই ফসল থেকে প্রতি বছর অগ্রায়ণ মাস পর্যন্ত টাকা পেতেন তিনি। এবারে অতি বৃষ্টির কারণে তার সব আশা ভেস্তে গেছে।

গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আগামী দু’একদিন এই অবস্থা কেটে না গেলে এলাকার কৃষকরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন।

 

স/শা