বদলগাছিতে মধ্যযুগীয় নারকীয় তাণ্ডব: একটি পরিবারপথে বসার উপক্রম

বদলগাছি থানায় দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা গেছে উপজেলার তেঘড়িয়া গ্রামের দরিদ্র এমদাদুল হক তাঁর কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন। এক ছেলে ঢাকায় থাকেন। জেলার সাপাহার উপজেলা সদরে সব্জি ব্যবসা করে এমদাদুল হক কোন রকমে সংসার অতিবাহিত করেন। তিনি ব্যবসার কারনে সাপাহারে বেশী সময় অতিবাহিত করেন। বাড়িতে স্ত্রী এবং মেয়ে এমিলি ইয়াসমিন বাড়িতে থাকেন। এমিলি ইয়াসমিন এম এ ক্লাশে পড়াশুনা করে।

বাড়ির জমাজমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শরীকদের সাথে শত্রুতা চলে আসছিল। ঘটনার দিন এমিলি রান্না করছিল। মা বাইরে কাজ করছিল। এমন সময় তার বড় আব্বা সিরাজুল ইসলামের  ছেলে মোঃ সুইট হোসেন, মোঃ ভুট্টু মিয়া, ও মেহেদী হাসান, সুৃইটের স্ত্রী শাহনাজ বেগম এবং কন্যা মোছাঃ ছনি আকতারসহ অনেকেই সংঘবদ্ধভাবে এমিলিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং এমিলিকে মারপিট করে। এ সময় তার মা বাইরে থেকে এসে প্রতিবাদ করায় তারা তাকেও মারপিট করে। তারা বড়ির মাটির প্রাচীর, আসবাবপত্র, শয়নঘরের দরজা ভাঙ্গচুর করে। পরে তারা ঘরের চালের প্রায় ১০ ব্যান্ডিল টিন, খাট, আসবাবপত্র, লেপতোষক, শাড়ি কাপর, মোবাইলফোন, ল্য্পাটপসহ, ডিনারসেটসহ ক্রোকারিজ সামগ্রী, স্বর্নালংকার ইত্যাদি লুট করে নিয়ে যায়। লুট করে নিয়ে জিনিষপত্রের মুল্য প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমিলি জানায় তাদের বাড়িতে পড়ার মত কোন কাপড় বা শীতে গায়ে দেয়ার মত কোন লেপ কাঁথা নেই। সব কিছু কিছু নিয়ে গেছে। রাতে তারা অন্যের বাড়ি থেকে কাঁথা চেয়ে এনে রাত কাটিয়েছে। অন্যের মোবাইল সেটে সীম ভরিয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সংবাদ পেয়ে ব্যবসা কেন্দ্র জেলার  সাপাহার উপজেলা সদর থেকে এসে বাড়ির এই অবস্থা থেকে হতবাক হয়ে পড়েন এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

বদলগাছি থানার অফিসার্স ইনচাজ তদন্ত মোঃ আব্দুল মালেক বলেছেন সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

স/অ