বৃহস্পতিবার , ১৬ এপ্রিল ২০২০ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বগুড়ায় বাসস্ট্যান্ডে ফেলে যাওয়া সেই ব্যক্তির রিপোর্ট অবশেষে নেগেটিভ

Paris
এপ্রিল ১৬, ২০২০ ৫:৩০ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রংপুরের সেই শ্রমজীবী ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি এখন আর নেই। চার দফা তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে তিন দফা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এলেও চতুর্থ দফা করোনা নেগেটিভ এসেছে। বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে শেষ দফা নমুনা পরীক্ষা শেষে করোনা নেগেটিভ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিক আমিন আজ রাত পৌনে ৯টায় বলেন, রংপুরের ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ১ এপ্রিল শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এখানকার আইসোলেশনে রেফার্ড করা হয়। এরপর ওই ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। ৪ এপ্রিল আইইডিসিআর থেকে নিশ্চিত করা হয়, ওই ব্যক্তি করোনা পজিটিভ। এরপর থেকে হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

আরএমও বলেন, গত দুই সপ্তাহে ওই ব্যক্তির শরীর থেকে আরও তিন দফা নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। এর মধ্যে দুই দফা করোনা পজিটিভ আসে। তৃতীয় দফায় নমুনা পাঠানো হয় গত সোমবার। এবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। বিষয়টি আজ সন্ধ্যায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করা হয়। শেষ দফা আজ বৃহস্পতিবার আরেকবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এবার করোনা নেগেটিভ এলে তাঁকে আইসোলেশন থেকে রিলিজ করে দেওয়া হবে।

এর আগে হাসপাতালে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা তাঁর স্ত্রী, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগের প্রধানসহ ১৬ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বগুড়া পর্যন্ত বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সচালকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে কারও শরীরে করোনার কোনো উপস্থিতি মেলেনি।

করোনা–আক্রান্ত ওই রোগী রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি সবজির আড়তের শ্রমিক। করোনার সংক্রমণ শুরু হলে ২৯ মার্চ রাতে একটি ট্রাকে চড়ে কারওয়ান বাজার থেকে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ট্রাকে আরও ২০ থেকে ২৫ জন মানুষ ছিলেন। পথে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, এমন আতঙ্কে ওই ব্যক্তিকে ভোররাতে মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পর পুলিশের সহযোগিতায় একটি রিকশাভ্যানে তাঁকে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন রাখা হয়। পরে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়।

সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর