ফোনে দীর্ঘক্ষণ চার্জ থাকে না বলে চিন্তিত, রইলো সহজ সমাধান

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

আধুনিক এই সময় মোবাইল ফোন ছাড়া একমুহূর্তও কল্পনা করতে পারি না আমরা। ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা ব্যবসায়ীক―সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় এই মোবাইল ফোন। এছাড়া সকালে অ্যালার্ম থেকে ফিটনেস ট্র্যাকিং, জরুরি মেসেজ থেকে ই-মেইল, প্রিয় মানুষ কিংবা প্রয়োজনে কাউকে ফোন করা সবই এখন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।

এসব প্রয়োজনীয় এবং জরুরি কাজের সময় যদি মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকে, তাহলে চিন্তার শেষ থাকে না। এ সময় ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি আমরা। আবার কারও কারও জরুরি সময় ফোনে চার্জ না থাকলে মেজাজ বিগড়ে যায়। এ জন্য কেউ কেউ অবসরে ফোন চার্জে রেখে দেন কিংবা সঙ্গে পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে রাখেন। কিন্তু এটা কি সমস্যার সমাধান? এতে কিন্তু দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় মোবাইল ফোন। এবার তাহলে তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য অ্যাক্সেস ওয়ের একটি প্রতিবেদন থেকে দীর্ঘদিন ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় জেনে নেয়া যাক।

মোবাইল ফোনে চার্জের পরিমাণ ২০ শতাংশের ঘরে নামলেই তা চার্জে বসান। এর নিচে নামতে দেবেন না। দীর্ঘ সময় যদি ফোনের চার্জ ২০ শতাংশের নিচে থাকে, তাহলে সালফেশন হতে পারে। সালফেশন জমতে শুরু করলে এটি ইলেক্ট্রন প্রবাহকে অবরুদ্ধ করে, বিলম্ব ঘটায়, চার্জের সময় দীর্ঘায়িত করে, ব্যাটারির উৎপাদনশীলতা ও এর সময়কাল হ্রাস করে দেয়ার সম্ভাবনা রাখে।

ফোন কখনোই অতিরিক্ত চার্জ করবেন না। এ ক্ষেত্রে অনেক তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, পরিপূর্ণ চার্জ না করাই ভালো। অতিরিক্ত ভোল্টেজে সীসা-অ্যাসিড ব্যাটারি চার্জ করলে এর তরলের মাত্রা হ্রাস করে এবং ব্যাটারির তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় পানির স্তর হ্রাস ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া দীর্ঘক্ষণ চার্জে থাকার ফলে এর কার্যকারিতা হারিয়ে যেতে থাকে।

এছাড়া রাতে অনেকর ফোন চার্জে রেখে ঘুমানোর অভ্যাস। এমনটা করা যাবে না। ফোন ও ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখতে চার্জ হয়ে গেলে চার্জার থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে ফোন। কখনো কখনো ফোন চার্জ দেয়ার কিছুক্ষণ পরই ফোন গরম হয়ে যায়। এমন অবস্থা হলে তাৎক্ষণিক চার্জারের প্লাগ বন্ধ করুন।

ফোন নতুন হলে বার বার চার্জে বসাবেন না। এতে ব্যাটারির ক্ষতি হয়ে থাকে। আর চার্জ যাতে দ্রুত শেষ না হয়, এ জন্য স্ক্রিনের ব্রাইটনেস সবসময় কমিয়ে রাখুন। আর ফোন চার্জে দিয়ে কোনো অ্যাপ ব্যবহার, গেম খেলা কিংবা ফোনে কথা বলার মতো অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন।