ফের গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন

ড. কামাল হোসেন পুনরায় গণফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে দলের বিশেষ কাউন্সিলে তাঁকে সর্বসম্মতভাবে নতুন সভাপতি ঘোষণা করা হয়।

কাউন্সিলে জানানো হয়, সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের তালিকা নির্ধারণে ২০ সদস্যের একটি সাবজেক্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আলোচনার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাছাইয়ে কাজ করবেন।

এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একই সময়ে গণফোরামের দুই পক্ষের কর্মসূচি চলাকালে মারামারিতে জড়িয়ে কয়েকজন আহত হন। সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন অংশের কাউন্সিল ছিল। অন্যদিকে মোস্তফা মহসিন মন্টু নেতৃত্বাধীন অংশের মানববন্ধনের কর্মসূচি ছিল প্রেস ক্লাবের সামনে।

কামাল হোসেনের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, মন্টু নেতৃত্বাধীন অংশের নেতাকর্মীরা তাদের কাউন্সিলে ঢুকে পড়লে মারামারি বাঁধে।

কাউন্সিলে থাকা গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান অভিযোগ করেছেন, গণফোরাম থেকে বহিষ্কৃতরা পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। সংসদ সদস্য মোকাব্বিরসহ প্রায় ১৫ জন আহত হন।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিকালে সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের অপর অংশের নেতা মন্টু। তিনি বলেছেন, তার অনুসারী কেউ ওই কাউন্সিলে ঢোকেনি। ব্যর্থতা ঢাকতে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে।

২০১৯ সালে গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলের পর দলটিতে কোন্দল চলছে। এক পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারও চলে। এখন কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একাংশ চলছে, যাতে নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির। অন্যদিকে মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, আবু সাইয়িদের নেতৃত্বে চলছে আরেক অংশ। এর মধ্যেই কামাল নেতৃত্বাধীন অংশ কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়ে শনিবার তা আয়োজন করে। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর মন্টু অংশ কাউন্সিল করে। তাতে কামাল হোসেনকে প্রধান উপদেষ্টা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মন্টু নেতৃত্বাধীন অংশের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের বাইরে মানববন্ধনের পর স্লোগান দিয়ে মিলনায়তনে ঢুকে পড়ে। এরপর দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। মঞ্চ থেকে নেমে এসে থামাতে গেলে প্রতিপক্ষের ছোড়া চেয়ারের আঘাতে জখম হন মোকাব্বির। পরে প্রেস ক্লাবে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অসুস্থতার কারণে কউন্সিলে ছিলে না কামাল হোসেন। তবে তিনি লিখিত বক্তব্য সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

সংঘর্ষের পর প্রেস ক্লাব মিলনায়তন থেকে বেরেয় মোকাব্বির সাংবাদিকদের বলেন, তাদের পূর্বনির্ধারিত কাউন্সিলে দুষ্কৃতকারী হামলা চালিয়েছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ